পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Pਤਕੈ। व्वद-दांत দক্ষিণ ময়মনসিংহের কোন পরগণায় জয়চন্দ্ৰনামে এক রাজা ছিলেন । র্তাহার লক্ষ, লক্ষ টাকা আয় ছিল ; বিশাল পুরী, হাতী ঘোড়ার লেখাজোখা নাই। মন্ত্রী, উজীর, নাজির লোক-লস্করে পুৱীখানি ভৰ্ত্তি । ঢোল, কাড়া, নাকাড়া, বঁাশী রোজ প্ৰত্যুষে রসুনচৌকীর সুরে প্রাণ আকুল করে,-হাওয়াখানা হইতে সেই গীতবাদ্য ধ্বনিতে রাজার ঘুম ভাঙ্গে। একদিন রাজা জয়চন্দ্ৰ তাহার সভাসদদিগকে বলিলেন “আমি রাজপদে প্ৰতিষ্ঠিত হওয়ার পরে একবারও মুরশিদাবাদ যাই নাই, নবাব-দরবারে একবার যাওয়া উচিত। আমি তথায় যাইব, আয়োজন-পত্ৰ ঠিক-ঠাক কর יין গণকের ডাক পড়িল,--তিনি গণিয়া আট দিনের পরে শুভদিন স্থির করিলেন । কাণা চইতা ও উভতিয়া—এই দুই ভাই রাজবাটীর মাঝি। ইহারা ময়ুরপঙ্খী পানসী নৌকা সাজাইবার ভার পাইল । নৌকাখানির ষোলটি দাড়,- নানাবর্ণে রঞ্জিত বৃহৎ পাল উত্থিত হইল । দরবারে উপহার দিবার জন্য নানা দ্রব্য নৌকায় তোলা হইল ; অভ্র-নিৰ্ম্মিত নানারূপ কারুখচিত চিরুণী, বিবিধ রং-বিরঙ্গের পাখা, হাতীর দাতের অপূর্ব পাটী, গজমতির মালা প্ৰভৃতি মূল্যবান দ্রব্য নবাব সাহেবকে ভেট দেওয়ার জন্য নৌকাতে সাজাইয়া রাখা হইল। সংগীতবিদ্যা-বিশারদ কয়েকজন গায়ক ও বাদ্যযন্ত্রে দক্ষ ব্যক্তি রাজার সঙ্গে চলিলেন । রাজা দশ হাজার টাকার একটি তোড়া নবাবকে নজর দেওয়ার জন্য লইয়া চলিলেন। রাজার পানসী উজান পানি বাহিয়া চলিল। যাওয়ার পুর্বে নাগরিকগণ সম্বদ্ধনা করিয়া রাজাকে বিদায় দিল । রাজা ব্ৰাহ্মণগণকে যথোচিত দান দিলেন, এবং রাজ্ঞীর নিকট বিদায় লইয়া কুমারী রূপবতীকে আশীৰ্ব্বাদ