পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S80 বাংলার পুরনারী করিয়া রাজধানী অভিমুখে রওনা হইলেন। ফুলেশ্বরী নদী বাহিয়া নৌকা নরসুন্দার মুখে পড়িল। সেই নদী ছাড়াইয়া ঘোড়া-উৎরা পার হইয়া ময়ুরপঙ্খী বিশাল মেঘনা নদীতে পড়িল। মেঘনার তরঙ্গ পাহাড়ের মত উচু, ঢেউএ ঢেউএ যখন আঘাত-প্ৰতিঘাত হয়, তখন তুমুল শব্দে আকাশ প্ৰকম্পিত হয়,-“এই নদীও অতিক্ৰম করিয়া রাজা তিন মাস পরে মুর্শিদাবাদ সহরে উপস্থিত হইলেন। সঙ্গের লোকেরা ভোেটর নানা দ্রব্য হুজুরে হাজির করিল। পূব দেশের আভের অতি সূক্ষ্ম কারুকাৰ্যখচিত চিরুণী ও বিজনী,-মুর্শিদাবাদের লোকেরা চোখে দেখে নাই, নবাব ভাটির দেশের কারিগরী দেখিয়া চমৎকৃত হইলেন । হাতীর র্দাতের শীতলপাটী, তাহার সূক্ষ্ম শিল্প ও নানারূপ কারুকাৰ্য্য দেখিয়া তিনি খুব খুশী হইলেন। দশহাজার টাকার তোড়াটি পাইয়া তিনি কৰ্ম্মচারীদিগকে আদেশ করিলেন যে রাজা জয়চন্দ্রের জন্য উৎকৃষ্ট মুছাপেরখানার (অতিথিশালা) ব্যবস্থা করা হউক। একটি রাজপ্ৰাসাদের মত বড় বাড়ীতে সম্মানিত অতিথির বাসস্থান নিয়োজিত হইল। নবাবের সঙ্গে রাজার মৈত্রী ক্রমশঃ ঘনিষ্ট হইল ; তঁাহার সৌজন্য ও সমাদরে মোহিত হইয়া রাজা মুর্শিদাবাদেই রহিয়া গেলেন। বিদায় চাহিলে তঁাহাকে নবাব ছাড়িয়া দেন না । রাণীর পত্ৰ এইভাবে তিনটি বৎসর অতীত হইল। এদিকে দেশে রাণী অত্যন্ত চিন্তিত হইয়া পড়িলেন ; কুমারী রূপবতী তখন চৌদ্দ বৎসরে পদার্পণ করিয়াছেন ; রাণী রাজার অভাবে ও রূপবতীর ভাবনায় অত্যন্ত চিন্তিত হইলেন, রাত্রে তঁাহার ঘুম নাই, এমন সোণার বর্ণ তাহা বিবৰ্ণ হইল। अदभाष्य अांद्र ना थांकिटड श्रांब्रिश डिनि ब्रांखांब निक ष्ठेि लिशिक्षा प्रूड পাঠাইলেন ।