পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রূপবতী S8S চিঠিতে রাজ্যের অবস্থা সবিস্তারে লিখিয়া রাজা কেন, কোন আকর্ষণে দেশ ছাড়িয়া এতকাল প্ৰবাসে পড়িয়া আছেন, তজ্জন্য রাণী নানারূপ মিষ্ট অনুযোগ করিলেন ; ঘরে মেয়ে দিন দিন বাড়িয়া চলিয়াছে, লোকে কণাঘুষা করিতে ছাড়িবে কেন। সে তো রাজার একমাত্র সন্তান, কণ্ঠের হারের মত আদরের ছিল, কি করিয়া তিনি তাহার বিবাহের কথা ভুলিয়া আছেন ? রাজাকে আর কালবিলম্ব না করিয়া বাড়ীতে আসিতে শত অনুরোধ জানাইয়া রাণী চিঠিখানি শেষ করিলেন। গণকদের গণনা এদিকে রোজ রোজই কোন না কোন গণক রাণীর দরবারে আসিতেছে এবং রূপবতীর কোষ্ঠি বিচার আরম্ভ করিয়াছে। উত্তর দেশের এক গণক অনেকগুলি খুঙ্গী পুথি লইয়া আসিল, বয়সের দরুণ তাহার দেহ কুজ হইয়া পড়িয়াছে, মুণ্ডিত মস্তকের পিছন দিকটায় একটা মস্ত বড় টিকি ঘাড় নাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যেন লাফাইতেছে। গণক হাত পা’ নাড়িয়া ভবিষ্যতের দ্বারা যেন উদঘাটন করিয়া ফেলিল । কন্যার ভাগ্যলিপি গণনা করিয়া সে বলিল :- “মেয়ে অপূর্ব সুন্দরী, স্বর্গের অপরােরা ইহার কাছে দাড়াইতে পারে না, অতি সুলক্ষণা। এই কন্যার কোন তরুণ রাজকুমারের সঙ্গে বিবাহ হইবে, ইনি পাটরাণী হইবেন । যদি অন্যথা হয় তবে হু- আমাকে তোমরা ধিক দিও।” আর এক গণক আসিলেন, তিনি হাঁপানি রোগের রোগী, হঁফাইতে হাঁফাইতে গণক বলিলেন, “এই মেয়ের জোড়া ভুরু, মাথার চুলের অগ্রভাগ বক্ৰ, কপাল প্ৰশস্ত এবং দাঁতগুলি ঠিক মুক্তার মত। দক্ষিণ দেশের এক ধন-কুবের সদাগর-পুত্রের সঙ্গে ইহার বিবাহ হইবে। শত শত কিঙ্কর