পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S88 বাংলার পুরনারী “রাণী, জাতিনাশ-ধৰ্ম্মনাশ হইলে আমার জীবনে কি কাজ ! রাজত্ব ছাড়িয়া চল আমরা দুজনে জঙ্গলে পলাইয়া যাই। “মুসলমানে কন্যা দিব নাহি সরে মন । রাজত্ব হইল আমার কৰ্ম্ম-বিড়ম্বন ॥ গলায় কলসী বাধি, জলে ডুব্য মরি। ७ विश्च न ऎ८ऊ) °८द्र ७ श्रुन् ि॥° রাজা আরো বলিলেন-“আমি ঠিক বুঝিয়াছি, কন্যাকে না দিলে আমার জমিদারী থাকিবে না। জয়পুর-রাজ্য নবাব দরিয়ায় ভাসাইয়া দিবেন। পাঠানেরা আসিয়া আমাকে বাধিয়া লইয়া যাইবে এবং নবাবের হুকুমে আমার গর্দান কাটা যাইবে। নির্দিষ্ট দিনের আর বেশী বাকী নাই, সেইদিনের পূর্বে রাজকুমারীকে নবাবের অন্তঃপুরে পাঠাইতে হইবে। তাহার পূর্বে ইহাকে আগুনে পুড়িয়া মারিব অথবা বিষ খাওয়াইব, তাহাই ভাবিতেছি। কোন দেশে গেলে আমাদের জীবন রক্ষা হইবে ? ‘अiांछन कब्र ब्रांीि ofा 9 कgicद्र । গলায় কলসী বাধি, আমি ডুবিব সায়রে ॥” রূপবতীর বিবাহ এই বিপদে রাণী নিজে যা’ হোক করে একটা উপায় উদ্ভাবনা করিলেন । রাজবাড়ীতে অতি তরুণ, কাৰ্ত্তিকের মত সুন্দর একটি কৰ্ম্মচারী ছিল, তাহার স্বভাব ছিল বিনয়-নিম্র এবং মুখে সদাই একটা হাসির মধুর রেখা যেন লাগিয়া থাকিত, তাহার কাজ ছিল অন্তঃপুরের ফরমাইস জোগান এবং শিব পূজার ফুল কুড়ানো।