পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S8V বাংলার পুরনারী জগত-ব্যাপক বাতাস সাক্ষী, আর দ্বিব্যামা রাত্রি এই কন্যাদানের সাক্ষী ! মদন! এ আমার বড় আদরের কন্যা, তুমি ইহার মনে ব্যথা দিওনা, এই হতভাগিনীর এত বড় রাজবাটী থাকিতে হেথায় একটু জায়গা হইল না, আমি ইহার গর্ভধারিণী, গর্ভে স্থান দিয়াছিলাম। কিন্তু বাড়ীতে স্থান দিতে পারিলাম না। রাজা দণ্ডমুণ্ডের কৰ্ত্তা এই বিশাল রাজত্বের মালিক, কিন্তু তিনি এই নিরপরাধ কন্যাকে আশ্রয় দিতে পারিলেন না। তুমি ইহার পাণিগ্রহণ করা, এই আঁধার দ্বিাযামা রাত্রিকে সাক্ষী করিয়া আমি ইহাকে তোমার হস্তে সম্প্রদান করিলাম।” রাণী কঁাদিতে লাগিলেন, রূপবতী কঁাদিতে লাগিল, মদনেরও চক্ষু ছাপিয়া অশ্রুর ধারা বহিতে লাগিল। মাথার দীঘল চুলের বেণী খসাইয়া কুমারী রূপবতী লাজ-নম্র চােখে বেশ ভূষা করিল, কোন দাসী বা পরিচারিকা তাহার প্রসাধনের সহায়তা করিল না । “না করিল পুরোহিত কুল আচরণ। নিঝুম রাতে করে মায় কন্যা সমৰ্পণ ॥ लछे भ्र। कनJांद्र शाऊ भलgनtद्र तिल। কেহ না জানিল মায় কন্যা সমপিল । কেহ না দিল তায় মঙ্গল জোকার । বিবাহের গীত হৈল-মৰ্ম্মের হাহাকার ॥” মাতা চোখের জল আচিলে মুছিয়া পুনরায় বলিলেন :- “সুখে থাক, দুঃখে থাক, তুমি প্ৰাণপতি। তুমি বিন অভাগীর নাহি অন্য গতি ॥” নিশি রাতের এই ঘটনা নাগরীয় লোকের কেহ জানিতে পারিল না। রাজা নিজেও জানিলেন না, রাজপুরীর মশা-মাছি পৰ্য্যন্ত এই বিবাহের কথা কেহ ঘূণাক্ষরে জানিতে পারিল না। কাণা চইত সেই রাজ বাড়ীর বিশ্বস্ত মাবি ; তাহাকে দ্বিপ্রহর রাত্রে রাণী। ডাকাইয়া আনিয়া বলিলেন ; —“তোমার নৌকায় কাহারা যাইবেন,