পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৩৩

রূপবর্তী S8 তুমি তাহা জানিতে চাহিও না । তোমাকে এই ধনরত্ন দিতেছি, ইহাই তোমার পুরস্কার। যেখানে পৌছিয়া প্ৰাভাতিক তারা দেখিতে পাইবে, তুমি ও তোমার মাঝিরা সেইখানে এই চরণদারকে নামাইয়া দিবে, ইহারা কে কোথায় যাইবে জিজ্ঞাসা করিও না, বৃথা কৌতুহল বশতঃ ইহাদিগকে কোন প্রশ্ন করিও না ।” নৌকাখানিতে মদন ও রূপবতী এইভাবে উঠিয়া অনির্দিষ্ট ভাগ্য-পথে রওনা হইয়া-গেলেন। পাল উঠাইয়া সারা নিশি কাণা চইত ডিঙ্গাখানি বাহিয়া চলিল। অতি দ্রুত চৌদ্দ বঁােক অতিক্রম একটা পাহাড়িয়া মাটীতে আসিয়া পড়িল। তখন রাত্রি ভোর হইয়া গিয়াছে। কাণা চইত সেইখানে আসিয়া নৌকা নাঙ্গর করিয়া উচ্চৈঃস্বরে বলিল, “চরণদার, তোমরা রাণীমার হুকুমে এইখানে নামিবে, ইহা ছাড়িয়া আর এক বঁােকও যাইবার আমার হুকুম নাই।” কাঙ্গালিয়া, জঙ্গলিয়া ও পুণাই যখন পানসী দূরে চলিয়া গিয়াছে, তখন রূপবতী স্বগত বিলাপ করিয়া বলিতেছে-“বাপের বাড়ীর নৌকা, বাড়ীতে ফিরিয়া গিয়া আমার পিতাকে আমাদের দুঃখের কথা জানাইও । আমার অভাগিনী মাতাকে বলিও, মা, “তোমার নির্বাসিত কন্যাকে জঙ্গলের বাঘে খাইয়া ফেলিয়াছে।” মদন রূপবতীকে শোকাৰ্ত্ত দেখিয়া বিনীতভারে বলিল—“তুমি কেঁদনা লক্ষ্মী-দৈবের অভিশাপে তুমি আমার হাতে পড়িয়াছ ! তুমি ত যজ্ঞের ঘূত, এই কুকুরের হাতে সমৰ্পিত হইয়াছ। আমি চণ্ডাল অপেক্ষাও নিচু, তুমি গঙ্গাজল হইতেও পবিত্র ; “না ধরিব, না ছাইব, তোমার চরণ খানি ।” e fra Kodakrmath Sadh garan Pathaga Jhikira, how rah