পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S8 বাংলার পুরনারী “যখন ক্ষুধা লাগিবে নফরকে বলিও সে তোমার জন্য বনের ফল আনিয়া দিবে,- এই পাহাড়িয়া দেশের নিৰ্ম্মল জল আনিয়া তোমার পিপাসা মিটাইবে ।” ‘রাজার দুলালী কন্যা নাহি জানি ক্লেশে । একলা হইয়া কেমনে তুমি থাকবে বনবাসে ॥” “আমি তো তোমার সঙ্গী নই, যে মনের কথা বলিয়া খানিকটা আরাম পাইবে ! 'वन्द्र ८ांनद्ध गौ-ऊ ि८ऊ नद्र । কথা শুন্যা কঁাদি কন্যা করিল উত্তর ॥’ কন্যা কহিলেন-“জঙ্গলেই থাকি বা ঘন ঘোর অরণ্যেই থাকি, মা তোমার হাতে আমাকে অৰ্পণ করিয়াছেন—তুমিই আমার স্বামী ও একমাত্র গতি । তোমা ভিন্ন অন্য কাহাকেও আমি জানিনা । ভাগ্য-দোষ কেবল আমার নহে, তুমিও ভাগ্য-বিড়ম্বিত । “এতেক করিল বিধি কপালেরে দোষী । আমার লাগিয়া বঁধু তুমি বনবাসী ৷” কাঙ্গালিয়া ও জঙ্গলীয়া দুই সহোদর-ইহারা জাতিতে জেলে । সেই পাহাড়িয়া নদীর তটে সারাদিন মাছ ধরিয়া বেড়ায় ; উভয়ের কোমরে মাছ রাখিবার চুপড়িী বঁধা—এবং হাতে জাল। তাহাদের দুভাইএর কোন সন্তান নাই। শিশুর কলরবহীন বাড়ী তাহাদের অন্তরের মতই খাঁ খ্যা করিতেছে। দু’ভাইএয়। তিনটি স্ত্রী, একটিরও কোন ছেলেমেয়ে হয় নাই। তিন বধূর মধ্যে পুনাই বড়গিন্নি, এই মেয়েটি যেমনই গৃহ কৰ্ম্ম-নিপুণ তেমনই তেজস্বিনী ও বুদ্ধিমতী । দুই ভাই সেদিন জাল ফেলিয়া ফেলিয়া হয়রাণ হইয়াছে, একটি পুটি, খলসে বা চিংড়ীও পায় নাই। কিন্তু তাহারা হঠাৎ দুইজন অপূর্ব রূপবান ও রূপবতী তরুণ-তরুণী দেখিয়া বিস্মিত হইয়া हैं।ांgाछेल ।