পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

yo বাংলার পুরনারী ফেনী সাবডিভিসনের ম্যাজিষ্ট্রেট। তিনি দীনেশবাবুকে ফেনী হাইস্কুলের হেড মাষ্টারী দিয়া একখানি চিঠিতে লিখিয়াছিলেন, “আপনি যখন ভূস্বৰ্গ (Earthly Paradise) st-TSCS effigi Sicz, VS Gè বন্ধন কাটিয়া যে আপনি ফেনীতে আসিতে পরিবেন, সে বিষয়ে আমার ভরসা অল্প।” বাস্তবিকই তঁাহার ফেনীতে যাওয়া হয় নাই। কুমিল্লায় তখন ( ১৮৯০ সনে ) দুইটি হাইস্কুল ছিল--একটি গভর্ণমেণ্ট স্কুল, অপরটি ভিকটােরিয়া হাইস্কুল। ভিকটােরিয়া স্কুলের কতিপয় বিদ্রোহী ছাত্র সেই স্কুল ত্যাগ করিয়া শম্ভুনাথ স্কুল স্থাপন করে। তাঁহাদের নেতা হন একটি দৃঢ়চেতা অথচ নিঃস্ব ভদ্রলোক। সেই ভদ্রলোক (অম্বিকাবাবু) ছাত্রদের সঙ্গে বহু মিনতি করিয়া শম্ভুনাথ নামক এক মাড়োয়ারী ধনীর সম্মতি গ্ৰহণপূর্বক ইহার নামের সঙ্গে স্কুলের নাম যুক্ত করিয়া দিয়াছিলেন। শম্ভুনাথ কয়েক মাসের জন্য র্তাহার একটা বড় তীৰু স্কুলকে ধার দেন, স্কুলের প্রতিষ্ঠা এই তাঁবুতেই হয়। সম্ভবতঃ শস্তুনাথ ইহা ছাড়া স্কুলের আর কোন সাহায্য করেন নাই। এই তাঁবুও তিনি কিছু কাল পরে লইয়া যান। তখন স্কুল বসিত কতকগুলি ভাঙ্গা খড়ের চালের ঘরে। কিন্তু ছাত্রদের ছিল ভিকটােরিয়া স্কুলের প্রতি কি বিজাতীয় ক্ৰোধ ! তাহারা বর্ষার বৃষ্টিতে ভাঙ্গা ঘরে ছাতা মাথায় দিয়া সিক্ত শশক ও বন্য মার্জারের মত ভিজিতে থাকিত, তথাপি তাহারা কোন অভাব লইয়া অভিযোগ করিত না । এই সময়ে পূর্ববঙ্গের শিক্ষা-বিভাগের সর্বময় কৰ্ত্তা ছিলেন, স্বৰ্গীয় দীননাথ সেন। দীনেশবাবুর সঙ্গে তাহার একটু আত্মীয়তা ছিল। সেক্রেটারী অম্বিকা বাবু মনে করিয়াছিলেন দীনেশবাবুর সনির্বন্ধ অনুরোধে স্কুলটি এ্যাফিলিয়েশন (affiliation ) পাইবে, দীননাথ সেনের হাতেই এইরূপ অনুগ্রহ প্ৰদৰ্শনের ক্ষমতা ছিল। এসম্বন্ধে বহু লেখা-লেখির পরে দীননাথ সেন তাহার শেষ সিদ্ধান্ত জানাইলেন।-“শদ্ভুনাথ স্কুলের অর্থ ভাণ্ডার শূন্য, স্কুলের স্বীয় ঘর বাড়ী নাই, ভাঙ্গা গোয়াল ঘরের মত একটা ঘরে স্কুল বসে। মাষ্টারগণ রীতিমত বেতন পান না, অনেকে কেবল ভবিষ্যতের আশার উপর নির্ভর করিয়া বায়ু-ভুক অবস্থায় আছেন। র্তাহারা