পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৪২

SC3 বাংলার পুরনারী उब्लibन्म রূপবতী পালাটি সত্যঘটনা-মূলক। আদিত গানটিতে যে সকল নাম ছিল, তাহা সংগ্ৰাহক শ্ৰীযুক্ত চন্দ্ৰ কুমার দের অনুরোধে আমি পরিবর্তন করিয়া ফেলিয়া কাহিনীটি আইনের চোখে নিরাপদ করিয়াছি। পালাটির দুইটি সংস্করণ আমি পাইয়াছিলাম, একটির সঙ্গে অপরটির মূলগত সামঞ্জস্য থাকিলেও কোন কোন বিষয়ে পার্থক্য ছিল । একটি পালায় কথিত হইয়াছে, রাজা বাড়ী ফিরিয়া মুসলমানের হাতে কন্যা সমৰ্পণ করা অপেক্ষা বাড়ী ঘর ও রাজত্ব ত্যাগ করিয়া বনবাসী হইবেন, এই স্থির করিয়াছিলেন। কিন্তু সমস্ত ত্যাগ করিয়া যাইবার পূর্বে এই সঙ্কল্প করিলেন যে, পরদিন প্ৰভাতে যাহার মুখ দেখিবেন, তাহারই হস্তে কন্যাটিকে সমৰ্পণ করিয়া যাইবেন । রাজা তঁহার অভিপ্ৰায় রাণীকে জানাইলে রাণী তাহদের বাড়ীর তরুণ অধস্তন কৰ্ম্মচারী মদনকে গোপনে ডাকিয়া আনিয়া বলিলেন, “তুমি রাজার শয়ন কক্ষের পার্শ্বে সারা রাত্রি থাকিয়া পাহারা দিবে। রাজা দরজা খুলিলে, হাজির হইয়া তাহার আদেশ প্ৰতীক্ষা করিবে ।” মদন অতি সুদর্শন, অল্প বয়স্ক, কৰ্ম্মঠ ও বিশ্বাসী লোক ছিল। এই মহাবিপদ ঘাড়ে করিয়া স্বজাতীয় কোন বড় লোকের ছেলে বিবাহ করিতে রাজী হইত না । বিশেষ বিবাহ খুব গোপনে নির্বাহিত হইবে যেন এ সংবাদ ক্ষুণাক্ষরেও মুর্শিদাবাদ না পৌছিতে পারে-রাজবাড়ী এক সামান্য সরকারের নিশাকালে রাজকন্যাকে পত্নীস্বরূপ গ্রহণ ও রাজবাড় ত্যাগ এমন একটা কিছু ঘটনা নয়, যাহা লইয়া মুর্শিদাবাদ পৰ্যন্ত এক হৈ চৈ হইতে পারে, কিংবা সন্দেহের উৎপত্তি হইতে পারে। এইজন্ম রাণী উপস্থিত বিপদের মধ্যে যথাসম্ভব সুবিধাজনক এই ব্যবস্থা করি.ে সম্মত হইয়াছিলেন। রাজা আতি প্ৰত্যুষে উঠিয়া মদনের মুখ দেখি একটুকু বিস্ময়ের ভাবে জিজ্ঞাসা করিলেন, “তুমি এত ভোরে আম শয়ন-গৃহের কাছে কি করিতেছিলে ?” মদন নত-মস্তকে উত্তর করি