পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ौवब-कथं tle/o যখন ইচ্ছা স্কুলে আসেন, যখন ইচ্ছা যান, হেড মাষ্টারের কোন শাসন মান্য করেন না। অবৈতনিক মাষ্টারদের উপর সেক্রেটারী কোন আইন জারি করিতে সাহসী হন না।” তঁহাদের বিদ্যা বুদ্ধির দৌড় সত্যই অতি অল্পই ছিল। একদিন দীনেশ বাবু দেখিলেন, একটি ছাত্রের প্রতি ক্রুদ্ধ হইয়া কোন মাষ্টার বিকট চীৎকার করিয়া বলিতেছেন :-“Stood up on the bench, I say” দীননাথ বাবু শেষে লিখিলেন, “হউক স্কুলের এই দুরবস্থা। আমি ইহার বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে affiliation-এর অনুকূলে মত দিতে পারি, যদি একজন দায়িত্বশীল যোগ্য ব্যক্তি স্কুলের ভার গ্ৰহণ করেন ও ইহার ব্যয় ভার গ্রহণে প্ৰতিশ্রুতি দিতে পারেন।” অম্বিকা বাবু বহু চেষ্টা করিয়াও সেরূপ লোক সংগ্ৰহ করিতে পারিলেন না । ছাত্ৰগণ বাল-খিল্লা ঋষিদের মত আশার একটা ক্ষীণ ডালে বুলিতেছিল। এইবার বুঝিল, সে আশা দুরাশা ৷ এদিকে দীনেশ বাবুর শিক্ষাপ্ৰণালী ও প্ৰতিভা কুমিল্লাবাসীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করিয়াছিল। ভিকটােরিয়া স্কুলের স্বত্বাধিকারী আনন্দ চন্দ্র রায় মহাশয় তাহাকে জানাইলেন যে, তাহার স্কুলের রেকটার আশু বাবু সবডিপুটি হইয়া চলিয়া যাইতেছেন। দীনেশ বাবু যেদিন ইচ্ছা করিবেন, সেই দিনই তঁহার পদটি পাইতে পারেন। এই সমস্যার যেভাবে সমাধান হইল তাহা দীনেশ বাবুর খুব বিবেক-সঙ্গত বলিয়া মনে হয় নাই। আত্মীয়দের আগ্ৰহাতিশয্যে ও একান্ত অনুরোধে তিনি শম্ভুনাথ ইনসটিটিউসন ত্যাগ করিয়া ভিকটােরিয়া স্কুলের পদ গ্ৰহণ করিলেন। সেই দিন জরাজীর্ণ স্কুলটি ছাত্র শূন্য হইল এবং ঘোর নৈরাশ্য ও লজ্জায় শাস্তুনাথের ছাত্ৰগণ, পরাভুত সৈন্যের আত্ম-সমর্পনের ন্যায় দীনেশ বাবুর পশ্চাৎ পশ্চাৎ পুনশ্চ ভিকটােরিয়া স্কুলে প্ৰবেশ করিল। ভিকটােরিয়া স্কুলের ছাত্ৰগণ বিজয়গর্বে করতালি দিয়া “ভাঙ্গল রে তাম্বুনাথ” বলিয়া তারস্বরে চীৎকার করিয়া সেই অপমানিত ছাত্ৰাদিগকে অভ্যর্থনা করিয়া লইল। শম্ভুনাথ ইনসটিটিউসন কতক দিন সেই মাড়োয়ারীর তঁবুতে আশ্রয় পাইয়াছিল, এই জন্য ভিকটোরিয়া স্কুলের ছাত্ৰগণ বিক্ৰপ করিয়া ঐ স্কুলের নাম দিয়াছিল “তাম্বুনাথ”।