পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তিলক বসন্ত SV\O করিতেছে, কেহ উত্তর দিতেছে,-সকলে মিলিয়া দিন রাত্র কাজ করিয়া তাহারা অল্প-সময়ের মধ্যে বাড়ী-নিৰ্ম্মাণ শেষ করিল। শাল গাছের পাতা সাত পংক্তি করিয়া রাজা-রাণীর শয্যা তৈরী হইল ঃ “সাত পরতে শাল বৃক্ষের পাতার বিছানি সেই ঘরে থাকবেন রাজা আর রাণী ॥” কাঠুরাণীদের সঙ্গে রাণী বনে যাইয়া ময়ুরের পাখা কুড়াইয়া আনেন। বৃদ্ধ কাঠুরাণীরা রাণীমাকে ঘিরিয়া বসিয়া ধাকে—সেই লোকেরা যেন তার কত কালের গোলাম ! এদিকে কুডুল কঁাধে করিয়া রাজা কাঠুরিয়াদের পেছনে পেছনে কাঠ ংগ্ৰহ করিতে নিবিড় বনে যান ; বনের যে অংশ চন্দনের গন্ধে আমোদিত, রাজার সেইদিকে আনাগোনা বেশী । অনেক সময় রাজা কাঠুরিয়াদের সঙ্গে বনে রাত্রিবাস করেন। এইভাবে রাজা তিলক বসন্ত কাঠুরিয়া বেশে সেই জঙ্গলে ৪০ দিন কাটাইলেন । চন্দনকাঠ বিক্রয় করিয়া সেদিন রাজা এক কাহন কড়ি লাভ করিয়াছেন । তিনি হাসি মুখে রাণীকে বলিলেন “আজ কাঠুরিয়াদের নিমন্ত্ৰণ করিয়া খাওয়ান যাক, তুমি তো রাধিতে পারিবে ?” রাণী বড়ই আনন্দিত হইয়া রান্না ঘরে রাধিতে গেলেন। একখানি গামছা কঁধে ফেলিয়া রাজা কাঠুরিয়াদেরে নিমন্ত্ৰণ করিয়া আসিলেন এবং বাজারে যাইয়া দ্রব্যাদি কিনিয়া আনিলেন । তারপর রাণীকে বলিলেন, “এই বনে অনেক চন্দন গাছ আছে, এবার কাঠ কাটিয়া আমরা অনেক সোণা পাইব ।” রাণী অন্নপূর্ণার মত রাধিতে বসিলেন, শাল পাতা দিয়া অনেকগুলি “ডুঙ্গা” প্ৰস্তুত করিয়া ৩৬টি ব্যঞ্জন ভিন্ন ভিন্ন পাত্রে রাখিলেন। তারপরে छ्त्र|=*ांब ।