পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাংলার পুরনারী واواS প্রিয়জন, অন্তরঙ্গ-তোমাদের মুখ আর দেখিব না, তোমরা আমাকে দুঃখের সমুদ্রে ফেলিয়া চলিলে।” বিলাপের সুর ঢেউ-এর উপরে বহু দূর পথে ভাসিয়া আসিতে লাগিল, দেখিতে দেখিতে রাণী আর সহচরীদিগকে দেখিতে পাইলেন না, তখন সাধুর দিকে দৃষ্টি পড়িল ; তিনি যোড় হস্তে কৰ্ম্ম-পুরুষের উদ্দেশে বলিলেন “এই সাধু রাক্ষস ; কি দোষে ভাগ্যহীন, রাজ্যহীন অভাগীর সর্বশ্রেষ্ঠ সুখ হইতে বঞ্চিত করিল ? আমার পাগল স্বামীর সঙ্গ হইতে আমাকে কাড়িয়া লইল ? হে দেবধৰ্ম্ম-তুমি আবার চরায় এই চৌদ্দ জাহাজ ঠেকাইয়া দাও।” কৰ্ম্ম-পুরুষ র্তাহার কথা শুনিলেন, র্তাহার প্রার্থনায় তঁাহাকে কুণ্ঠ রোগ দিলেন। র্তাহার রূপের বনে আগুন লাগিল, তাহার হাত পা খসিয়া পড়িতে লাগিল এবং সমুদ্রের মধ্যে সহসা এক চরা পড়িয়া চৌদ্দ জাহাজ প্ৰলয় শব্দে তাহাতে আসিয়া ধাক্কা খাইল এবং শরাহত ঐরাবতের মত কা”ত হইয়া একদিকে শুইয়া পড়িল । মাঝি মাল্লারা ইহার পুর্বেই এই রমণীর দৈব-শক্তির পরিচয় পাইয়াছিল, এবার হতবুদ্ধি হইয়া বলিল ---“এক মুহুৰ্ত্তও আর ইহাকে ডিঙ্গাতে রাখার প্ৰয়োজন নাই, নতুবা বিপদের অন্ত থাকিবে না। এখনই ইহাকে নামাইয়া দেওয়া হউক ।” তাহদের আর রাণীকে স্পর্শ করিতে হইল না, রাণী স্বয়ং বহু কষ্টে সেই অজ্ঞাত প্রদেশের সিকতা-ভূমিতে নামিয়া পড়িলেন। রাজার কাঠুরিয়াদের কুটির ত্যাগ, ও নূতন রাজার মুলুকে প্রবেশ এবং রাজকন্যাকে বিবাহ রাজা তিলক বড় আনন্দে বন হইতে বাড়ী ফিরিয়াছেন ; আজ অনেক চন্দন কাঠ পাওয়া গিয়াছে, “রাণী দেখ আসিয়া, আজ বড় লাভের কাঠ কাটা হইয়াছে। দূর নগরে এই কাঠ সোনায় বিক্রি হইবে। আহা