পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তিলক বসন্ত MVA কাঠুরিয়াদের বড় ক্ষুধা পাইয়াছে, রান্নার আর বিলম্ব কত, তুমি ভাত বাড়িয়া রাখ, আমরা স্নান করিয়া আসি।” এই বলিয়া রাজা রান্না ঘরের কাছে দাড়াইয়া রাণীকে ডাকিতে লাগিলেন। কে উত্তর দিবে ? পাগলের মত রাজা এদিক ওদিক খুজিতে লাগিলেন। কাঠুরাণীরা তঁহাকে সমস্ত কথা বলিল, তাহদের চক্ষু অশ্রুপ্রাবিত, তাহারা একটা কথা বলিতে যাইয়া আর বলিতে পারে না, “হায়’ ‘হয়’ করিয়া কঁাদিতে থাকে। রাজা পাগলের মত হইয়া গেলেন, তিনি বিলাপ করিয়া বলিলেন - “আমি রাজ্যহারা হইয়াও এই বনে রাজ্যসুখ পাইয়াছিলাম, আমার পাতার বিছানা আজ খালি হইল, আমার বাড়া ভাতে কে ছাই দিয়া গেল ? এই পাতার কুটির, আমার বড় আদরের, কিন্তু এখন আর ইহাতে আমার প্ৰয়োজন নাই। —

  • छ्द्र श्८थं व्ां िऊिभ कळे । যে জন আছিল আমার সুখের রাজ্য-পাট ॥ আর না থাকিব আমি এই গহিন বনে। বিদায় দেও কাঠুরিয়া যাব অন্য স্থানে ॥”

এই কথা শুনিয়া কাঠুরিয়াদের বসতি-স্থানে কান্নার রোল পড়িয়া গেল। তাহারা রাজাকে অনেক বুঝাইয়া শুঝাইয়া সান্থনা করিতে চেষ্টা পাইল, রাজার শোকে আর রাণীকে হারাইয়া তাঁহাদের মন জ্বলিয়া পুড়িয়া খাক হইয়া যাইতেছিল। তাহারা বলিল, রাত্ৰি প্ৰভাত হইলে তাহারা নানা দিকে দল বঁাধিয়া রাণীর খোজে বাহির হইবে, এবং যেরূপে পারে তঁহাকে খুজিয়া আনিবে। রাজার সে সকল কথা কাণে গেল। কিনা বুঝা গেল না । র্তাহার সে পর্ণ কুটির-রাজবাড়ী-একটু দূরে ছিল, তিনি শেষ রাত্রে সেই পাতার গৃহে আগুন লাগাইয়া দিলেন, এবং নিজে একদিকে চলিয়া গেলেন, কাঠুরিয়ারা আর র্তাহাকে দেখিতে পাইল না। তাহারা প্ৰাতে উঠিয়া “হায়! হায়! পাগল রাজা গেল কোথাকারে ?” বলিয়া কঁাদিতে লাগিল ।