পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

lê R পুরনারী দীনেশ বাবু ১৮৯১ সনে ভিকটােরিয়া স্কুলের প্রধান শিক্ষকের পদ গ্ৰহণ করেন—সেই বৎসরই ঐ স্কুলের ছাত্র ঝাড়, মিঞা (এস্কেন্দর আলী) চট্টগ্রাম বিভাগের স্কুল সমূহের মধ্যে প্ৰথম হয়। শুধু তাঁহাই নহে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম দশজনের একজন হইয়া সে ২০২২ টাকা বৃত্তিলাভ করে। সে সংস্কৃত ও গণিতে প্ৰথম হয়। এতাদৃশ সৌভাগ্য চট্টগ্রাম ডিভিসনের কোন ছাত্রের আর হয় নাই। তার পর দুই তিন বৎসর ক্রমাগত ভিক্‌টােরিয়া স্কুল চট্টগ্রাম ডিভিসনের হাই স্কুলসমূহের মধ্যে প্ৰথমস্থান অধিকার করে। এই সময় বৰ্ত্তমান মন্ত্রী নবাব মসরেফ হোসেন বাহাদুর এই স্কুল হইতে এন্টান্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। বঙ্গেশ্বর সার চারুলস ইলিয়ট স্কুল পরিদর্শন করিয়া মন্তব্য করেন, “যখন ভিকটোরিয়া স্কুলের মত এমন একটি সুপরিচালিত উৎকৃষ্ট স্কুল এই সহরে বিদ্যমান, তখন গভর্ণমেণ্ট স্কুল এখানে রাখার কোন প্ৰয়োজনীয়তা আছে বলিয়া মনে করি না ।” লাট সাহেব নানাদিক দিয়া সরকারী ব্যয় হ্রাসের জন্য চেষ্টত ছিলেন। এই ভিকটােরিয়া স্কুলে অধ্যাপনা করার সময়ই দীনেশচন্দ্রের ‘বঙ্গভাষা ও সাহিত্য’ গ্রন্থের সূত্ৰপাত হয় । পিতামাতা ও ভগিনীদের অধিকাংশ এক বৎসরের মধ্যে ঝড়ে পড়া বাগানের মত অন্তহিত হইলেন ; দীনেশ বাবুর পরিবারে এক স্ত্রী ভিন্ন কেহ ছিল না । শ্বশুর বাড়ীর সঙ্গেও তঁাহার নানা কারণে মনোমালিন্য হইয়াছিল। এজন্য তিনি জীবনের প্রতি একেবারে বীতস্পৃহ হইয়াছিলেন, সর্বদা তাহার মনে হইত, কোন এক মহৎ ব্ৰতে তিনি জীবন উৎসর্গ করিবেন এবং “মন্ত্রের সাধন কিম্বা শরীর পাতন” এইরূপ কোন একনিষ্ঠ কৰ্ম্মে তিনি নিজকে নিযুক্ত করিবেন। অধ্যাপক ডাক্তার তমোনাশ চন্দ্ৰ দাসের পিতা অবিনাশ চন্দ্ৰ দাস র্তাহার স্বগ্রামবাসী আত্মীয় ও বাল্য সুহৃৎ ; উভয়েই প্ৰায় সমবয়স্ক । যখন র্তাহাদের সাত বৎসর বয়স, তখন দীনেশ বাবু তাঁহাকে বলিয়াছিলেন, “আমি ধন মান প্ৰতিষ্ঠা কিছুই চাহি না। আমি বাংলার সর্বশ্রেষ্ঠ কবি হইব। যদি তাহা হইতে না পারি, তবে সর্বশ্রেষ্ঠ ঐতিহাসিক হইব।” মনে মনে কৈশোর ও তরুণ জীবনের এই সঙ্কল্প তিনি পোষণ করিয়াছিলেন । তিনি যে কত কবিতা লিখিয়াছিলেন তাহার সংখ্যা বলা যায় না । তাহা