পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তিলক বসন্ত Sዓዓ কিন্তু সাত ভাই ষড়যন্ত্র করিতে লাগিল। “এই ব্যক্তিকে হয়ত কোন বনদেবতা কুলা করিয়াছেন। বাড়ী ফিরিয়া মালী নিশ্চয়ই আমাদিগকে হত্যা করিয়া আমাদের পিতৃরাজ্য দখল করিবে ; আমরা উহার উপর যে সকল অত্যাচার করিয়াছি তাহা ত মনে আছে, সুতরাং উহাকে মারিয়া ফেলিয়া হরিণগুলি লইয়া বাড়ী ফিরিয়া যাওয়া যাক ৷” তখন সাতটি ধনুক হইতে অবিরত বাণ-বৃষ্টি হইতে লাগিল। রাজা বসন্ত রায় মহাবীর, তিনি অনায়াসে শব্দভেদী বাণ দ্বারা তাহাদিগকে একবারে আচ্ছন্ন করিয়া ফেলিলেন। তারপর সম্পূর্ণরূপে পরাভূত করিয়া তাহাদিগকে বঁাধিয়া ফেলিলেন, এবং নিজের আঙ্গুলের শ্ৰীআংটি খুলিয়া তাহা উত্তপ্ত করিয়া শ্যালকদের প্রত্যেকের কপাল দাগিয়া দিলেন । বন্ধন খুলিয়া দিয়া তিনি সেই সাতটি হরিণ তাহাদিগকে দিয়া শ্ৰীআংটি খুলিয়া ফেলিলেন,-বলিলেন, এই “শ্ৰীআংটি তোমরা তোমাদের ভগিনীকে দিবেইহাতে আমার পরিচয় লিখিত আছে।” লাঞ্ছিত ও অপমানিত ভ্ৰাতার রাজধানীতে যাইয়া প্রচার করিলেন, মালীরাজাকে জঙ্গলের বাঘে খাইয়া ফেলিয়াছে। ভগিনী পবনকুমারীকে বলিলেন, “আমাদের পিতা তোমার দুষমণ হইয়া এমন সোনার প্রতিমাকে মালীর হাতে দিয়াছিলেন, তোমার কপালে যা লেখা ছিল, তাহাই হইয়াছে, আমরা কি করিব ? বাঘের মুখ হইতে আমরা “শ্ৰীআংটি” কাড়িয়া রাখিয়াছি ; মৃত্যুকালে মালী। এটি তোমাকে দিতে বলিয়া গিয়াছে-ইহাতে নাকি তাহার পরিচয় লেখা আছে। এই সকল দুঃখের জন্য পিতাই দোষী “এমন সোনার পদ্ম মধুতে ভরিয়া । বর না জুটিল এক দুষ্ট গোবরিয়া ॥”* রাজকুমারী কতকটা শোকাৰ্ত্ত হইয়াও ভ্রাতাদের সকল কথা বিশ্বাস করিলেন না ।

  • মধু ভরা এমন কোমল স্বৰ্ণ-পদ্ম নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল, কিন্তু ইহার বর নাকি

একটী গোবরা পোকা হইল । R \9