পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জীবন-কথা tl/o একত্র করিলে ওয়েবষ্টারের অভিধানের মত একখানি সুবৃহৎ পুস্তক হইতে পারিত। কিন্তু কবি-খ্যাতি র্তাহার নিতান্ত অন্তরঙ্গ আত্মীয় ও বন্ধুদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। সঞ্জীব বাবুর সম্পাদিত ‘বঙ্গদর্শন’ পত্রিকায় “পূজার কুসুম” নামক র্তাহার একটি কবিতা প্ৰকাশিত হইয়াছিল, তখন দীনেশ বাবুর বয়স ১৫ বৎসর। অধ্যাপক নীলকণ্ঠ মজুমদার পি, আর, এস, ঐ পত্রিকায় লিখিতেন, তিনি একটি বালক ছাত্রের কবিতা বঙ্গদর্শনের মত উচ্চ পত্রিকায় প্ৰকাশিত হইয়াছে দেখিয়া চমৎকৃত হইয়াছিলেন। তাহার পর অষ্টাদশ বর্ষ বয়সে তিনি “কুমার ভূপেন্দ্ৰ সিংহ” নামক একখানি কাব্য রচনা করিয়া প্ৰকাশিত করেন, ঐ পুস্তক প্ৰকাশের অব্যবহিত পরেই পুস্তকগুলি অগ্নিদাহে নষ্ট হইয়া যায়—ইহার পর তঁহার কাব্য-প্ৰতিভা আর বেশী দূর অগ্রসর হইতে পারে নাই। ১৮৯১ সন হইতেই তাহার সাহিত্যিক প্ৰতিভা বঙ্গীয় পাঠক মণ্ডলীকে আকৃষ্ট করে। ঐ সনে তিনি তিনটি প্ৰবন্ধ লেখেন-প্ৰথমটি “ কালিদাস ও সেক্ষপীয়র” “জন্মভূমিতে প্ৰকাশিত হয়। সম্পাদক যোগেন্দ্ৰ নাথ বসু মহাশয় এই প্ৰবন্ধটি পাইয়া আকস্মিক ও অযাচিতভাবে দীনেশ বাবুকে আর্থিক পুরস্কার পাঠাইয়া দেন। দ্বিতীয় প্ৰবন্ধ “জন্মান্তর-বাদ” “অনুসন্ধান’ পত্রিকায় প্ৰকাশিত হয়। তাহা পাঠ করিয়া কবি হেমচন্দ্ৰ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভ্ৰাতা ঈশানচন্দ্ৰ বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই প্ৰবন্ধের অজস্ৰ প্ৰশংসা করিয়া সম্পাদককে একখানা পত্র লেখেন, তাহাতে লিখিত ছিল, আমি ভবিষ্যৎ বাণী করিতেছি, এই লেখক অচিরে বঙ্গ-সাহিত্য ক্ষেত্রে বিশেষ প্ৰতিষ্ঠা লাভ করিবেন। তৃতীয় প্ৰবন্ধ বঙ্গভাষা ও সাহিত্যের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস। কলিকাতার এক এসোসিয়েসন উক্ত বিষয়ক প্ৰবন্ধের জন্য একটি পদক ঘোষণা করে। পরীক্ষক ছিলেন স্বৰ্গীয় চন্দ্ৰনাথ বসু ও পণ্ডিত রজনীকান্ত গুপ্ত। বহু বিশিষ্ট লেখক এই পদকের জন্য প্ৰবন্ধ লিখিয়াছিলেন, তন্মধ্যে হারাণ চন্দ্ৰ রক্ষিত মহাশয় ছিলেন, কিন্তু পূর্ববঙ্গের একজন অজ্ঞাত তরুণ যুবকের প্ৰবন্ধই সর্বশ্রেষ্ঠ বলিয়া মনোনীত হইয়াছিল। এই প্ৰবন্ধ লেখার বহু পূর্ব হইতে তিনি প্ৰাচীন সাহিত্যের যে আলোচনা করিতেছিলেন তাহা এইবার কাজে লাগিল। কয়েকজন বিজ্ঞ