পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SQby" বাংলার পুরনারী তিনি শ্ৰীআংটির বিবরণ জানিতে পারিয়া তিলক-বসন্তের রাজধানী খুজিতে অনন্যমন হইয়া বনের পথে ছুটলেন। প্ৰথমতঃ তিনি কোন পথে যাইবেন, তাহ স্থির করিতে না পারিয়া নীরবে বসিয়া রহিলেন, যেমন ছুটিয়া যাইবার পূর্বে কাল-বৈশাখী ঝড় খানিকটা স্তম্ভিত হইয়া থাকে, “ছুটিবার কালে যেমন কাল-বৈশাখী বা ;” তার পর বন, জঙ্গল, বাদাড়, লোকালয় কিছুই গ্ৰাহা করিলেন না, উন্মত্ত বেগে এক পল্লী হইতে অন্য পল্লী অতিক্ৰম করিয়া চলিলেন । , এই যে রাজা তিলক বসন্তের রাজধানী ! তিনি আবার আসিয়া স্বরাজ্যে সুপ্ৰতিষ্ঠিত হইয়াছেন। পবনকুমারী রাজবাড়ীর ধোপার বাড়ীতে যাইয়া তাহাদিগের শরণ লইলেন, তাহারা সেই অপরূপ রূপলাবণ্যসম্পন্ন কন্যাকে আশ্রয় দিল। রাজা-রাণীর কাপড়গুলি পবনকুমারী স্বয়ং কাচোন। একদিন সেই ধৌত কাপড়ের ভাঁজে তিনি শ্ৰীআংটিটীি রাখিয়া দিলেন। সুলারাণী সেই আংটিটী রাজাকে দেখাইলেন। রাজা অনুসন্ধান করিয়া জানিলেন, তাহার ধোপার বাড়ীতে “রূপে লক্ষ্মী- গুণে সরস্বতী” একটি মেয়ে আসিয়াছে। রাজ্ঞীর কাপড় সেই কাচে ও কাপড়ের ভাঁজে শ্ৰীআংটি সেই রাখিয়াছে। রাজা নানা মণিমাণিক্যখচিত চৌদোলা ধোপার বাড়ীতে পাঠাইলেন। মুক্ত চৌদোলায় প্ৰজারা দেখিতে পাইল, ইনি দ্বিতীয় সুলারাণীরই মত এক রূপের প্রতিমা । রাজা অগ্রসর হইয়া তাহার কাছে যাওয়া মাত্র পবনকুমারী পতির পদে লুটাইয়া পড়িলেন। রাজা তঁহাকে আদরে হাত ধরিয়া উঠাইয়া সুলারাণীকে বলিলেন, “ইহাকে গ্ৰহণ কর, ইনি জীবনে তোমা অপেক্ষা কম দুঃখ পান নাই ।” “এই কথা শুনিয়া সুলা দিল আলিঙ্গন। বইনে বইনে হ’ল এই সপত্নী মিলন । cलानांद्र शब्रटड cयन भांकि J बनाईल । দুই চাদে রাজপুরী উজ্জ্বল হইল।”