পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

भशून॥ »ህጎS সংসারের প্রতি উদাসীন মায়ের দুলাল এই পুত্ৰ শিস দিতে দিতে এবং বারমাসি গান গাহিতে গাহিতে ক্ষেতের দিকে চলিল । কিন্তু আশ্বিনের বন্যায় কিছুই নাই—ক্ষেত জলে ভাসিয়া গিয়াছে, একটি ধানের ছড়াও জলের উপর মাথা জাগাইয়া নাই। বিষন্ন চিত্তে চাঁদবিনোদ বাড়ীতে ফিরিয়া মাতাকে তাহদের কৃষির অবস্থা জানাইল । মাতা মাথায় হাত দিয়া বসিয়া পড়িলেন । আগন মাসের ফসল মাটি হইল, তবে ত “সারা বছরের লাগ্য গেছে। ঘরের ভাত ” এই বলিয়া মাতা বিলাপ করিতে লাগিলেন। এই বিপদে বিনোদ কি করিবে ? হালের গরু বেচিয়া খাইল, পাঁচখানি ক্ষেত মহাজনের নিকট বাধা পড়িল ; এখন আর হাল নাই, ক্ষেত নাই, গরু নাই। আর সর্ষে বা কড়াই বুনিবার উপায় নাই। কাৰ্ত্তিক, অগ্রহায়ণ, পৌষ, মাঘ, ফাঙ্কন, চৈত্র এইভাবে ঘরের শেষ সম্বল বিক্রয় করিয়া বৃদ্ধ মাতা ও তাহার যুবক পুত্র জীবন-যাত্ৰা চালাইল ; বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠে আবার আকাশে মেঘ গৰ্জন করিয়া উঠিল। মেঘের ডাক শুনিয়া ময়ুরের পেখম ধরিয়া নাচিতে লাগিল ও কুড়া পাখীগুলি সেই অরণ্য-প্রদেশের দিক দিগন্ত কঁপাইয়া সাড়া দিয়া উঠিল। কুড়ার ডাক শুনিয়া চাদ-বিনোদের রক্ত উত্তেজিত হইয়া উঠিল। কুড়াশিকার তাহার চিরকালের নেশা । চাদ-বিনোদ আকাশ মেঘাচ্ছন্ন দেখিয়া নিজের কুড়াটির পিঞ্জীরটি হাতে করিয়া শিকারের জন্য ছুটিল । কুড়া-শিকারে যাত্রা ঘরে ক্ষুদের কণাও নাই, বিদায়কালে মা তঁহার আদরের পুত্ৰকে কি খাইতে দিবেন ? মায়ের চোখের জল দেখিতে দেখিতে চান্দ-বিনোদ বাড়ী छाँड़िशा bलिब्न