পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Soo বাংলার পুরনারী “জ্যৈষ্ঠ মাসের রবির জাল পবনের নাই বা ।* পুত্ৰকে শিকারে দিয়া পাগল হৈল মা ৷” চাঁদ-বিনোদ শিকারে চলিয়াছে। তাহার নিজের ক্ষেতের ধান জলে ভাসিয়া গিয়াছে। কিন্তু আড়ালিয়া গ্রাম ছাড়িয়া সর্বত্র বসুন্ধরা হাসিয়া উঠিয়াছেন, প্ৰকৃতি তথায় শস্যশ্যামলা । শালী ধান পাকিয়াছে,-ধানের গাছের অগ্রভাগ রাঙ্গা, তাহা শষ্যের ভারে নোয়াইয়া পড়িয়াছে, প্ৰকৃতির এই বিরাট আয়োজন দেখিতে দেখিতে চাঁদ-বিনোদ অদূরে তাহার ভগিনীর বাড়ীর দিকে চলিল। “थांगा-ब्रांत्र। श्रीलि १ांना श्रांकJ फूtég श्रफु । পথে আছে বইনের বাড়ী যাইব মনে করে।” বহুদিন পরে ভাই-ভগিনীর মিলন হইল। কত যত্নে ভগিনী চাদবিনোদের জন্য একটা গামছায় চিড়ার পুটুলী বঁাধিয়া দিল। বাড়ীর গাছের সোনার বর্ণ মৰ্ত্তমান কলা পাকিয়াছিল, এক ছড়া কলা নামাইয়া চাদবিনোদকে দিল। সর্বশেষ পান-খয়ের-সুপুরি ও । চুণ সাজাইয়া চাঁদবিনোদকে দিয়া-কত আদরে ভাইএর চন্দ্ৰ-বদনখানি দেখিতে লাগিল । কুড়া শিকারে চলিয়াছে চাঁদ-বিনোদ ; আষাঢ়ের মেঘ রহিয়া রহিয়া ডাকিতেছে, সঙ্গে সঙ্গে কুড়া চীৎকার করিয়া উঠিতেছে। “কুড়ার ডাকেতে শুনি বর্ষার নমুনা।” যতই নিবিড় বনে প্ৰবেশ করিতে লাগিল, ততই অস্তগমনোদ্যত সূৰ্য্যের তেজ কমিয়া আসিল এবং মেঘের গুরু গুরু ডাক, কেঁয়া ফুলের গন্ধ, কুড়া ও মেঘের ধ্বনির সঙ্গে মিশিয়া পল্লীগ্রামের বর্ষাকে জীবন্ত করিয়া দেখাইল । a t-frCity