পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মলুয়া S) তাহারাও খুব আঢ্য বংশ-টাকার অন্ত নাই। অনেক নৌকা ঘাটে বাধা, তাহাতে ব্যাপার বাণিজ্য চলে, তাহা ছাড়া নৌকা-দৌড়ে প্ৰতিদ্বন্দ্বিতার জন্য অনেক ডিঙ্গ শায়ন মাসে প্ৰস্তুত থাকে। চারটি বৃহদাকৃতি ষােড়লড়াই করিতে অভ্যস্ত। সেই র্যাড়ের লড়াই দেখিতে খুব জনতা হয়-কিন্তু বংশের কাহারও কোন কালে কুণ্ঠরোগ হইয়াছিল-এজন্য সে প্ৰস্তাব পরিত্যক্ত হইল । 复 gy এই সময়ে ঘটক চাঁদ-বিনােদের মাতার প্রস্তাব লইয়া উপস্থিত হইল। র্তাহারা বরকে দেখিয়াছেন, চেহারা ভারি সুন্দর। কুল-মৰ্য্যাদায় চাঁদবিনোদের সমকক্ষ ঘর সেই আড়ালিয়া অঞ্চলে নাই। ঘর বর দুইই উজ্জল । কিন্তু ইহারা বড় দরিদ্র-লক্ষ্মীপূজার জন্য একমুষ্টি চালও ইহাদের সঞ্চয় नांझे । সুতরাং হীরাধারের ইচ্ছা সত্ত্বেও এই ঘরে কন্যার বিবাহে তিনি সম্মতি দিতে পারিলেন না। যে কন্যা কত আদরে লালিত পালিত, তাহাকে কি করিয়া এই নিরন্ন ঘরে বিবাহ দিবেন ? অগ্নিপাটের শাড়ী পরিয়াও যাহার মন উঠে না, সে কি করিয়া জেলার হাতের মোটা ও ছিন্ন পাছড়া পরিবে ? ঘটক যাইয়া সকল কথা জানাইল । পুত্রের ইচ্ছা পূর্ণ করিতে দৈব বাদী হইয়াছেন দেখিয়া মাতা ক্ষুন্ন হইলেন। €द চাঁদ-বিনোদও সমস্ত শুনিয়াছিল ; সে পরদিন মাতাকে বলিল, “পুরুষ হইয়া এরূপ ভাবে ঘরে বসিয়া দারিদ্র্য সহ করা উচিত নয়, আমি কুড়া শিকার করিতে আজই দূরে যাইব ।” কিছু বাসি পান্ত ভাত ছিল,- কাচা লঙ্কা ও নুণ দিয়া মাতা তাঁহাই পুত্রকে খাইতে দিলেন। চাঁদ-বিনোদ র্তাহাকে প্ৰণাম করিয়া বিদায় লইল :-