পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মলুয়া ܦܘܽܘܓ হইয়াছেন। কে তঁহাকে রাধিয়া বাড়িয়া দেবে ? এই গৃহই আমার কাশী, ইহাই আমার বৃন্দাবন, আমি বাড়ী ছাড়িয়া কোথাও যাইব না।” নিদারুণ অভাবে মলুয়ার সর্বাঙ্গের অলঙ্কার বিক্রয় করিয়া ফেলিতে হইল :- “নাকের নাথ বেচি মলুয়া আষাঢ় মাস খাইল । গলার যে মতির হার তাও বেচ্য খাইল ॥ শায়ণ মাসেতে মলুয়া পায়ের খাড় বেচে । এত দুঃখ মলুয়ার কপালেতে আছে। হাতের বাজু বাধা দিয়া ভাদ্র মাস খায়। পাটের শাড়ী বেচ্য মলুয়ার আশ্বিন মাস যায়। কাণের ফুল বেচ্য মলুয়া কাৰ্ত্তিক গোয়াইল । অঙ্গের যত সোনা-দানা সকলই বাধা দিল ॥ শত গ্ৰন্থি অঙ্গের বাস হাতের কঙ্কন বাকি । আর নাহি চলে দিন মুষ্টি চালের লাগি ৷ ছোড়া কাপড়ে মলুয়ার অঙ্গ নাহি ঢাকে। একদিন গেল মলুয়ার দুরন্ত উপোসে । ঘরে নাই লক্ষ্মীর দানা এক মুঠ ক্ষুদ। দিন রাইত বাড়তে আছে মহাজনের সুদ ৷” আপনি শাক সিদ্ধ করিয়া খায়-তবু শাশুড়ী ও স্বামীর মুখে দুটি VSVS QVI - “আপনি উপোসী থেকে-পরে নাহি কয় । সোয়ামী শাশুড়ীর দুঃখ আর কত সয় ॥” এখন বাড়ী বাড়ী ভিক্ষা করা বাকী । যখন অবস্থা এইরূপ দাড়াইল, তখন বিনোদ স্ত্রী ও মাকে কিছু না বলিয়া একরাত্রে গৃহত্যাগ করিল। বিনোদ চলিয়া গেলে কাজি আবার কুটনীকে পাঠাইল। তপ্তকাঞ্চন বর্ণ এখন আর সোনার অলঙ্কারে ঝলমল করে না । “সৰ্বাঙ্গ হয়েছে যেন ধৃতরার ফুল।”