পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sob" বাংলার পুরনারী কিন্তু মলুয়াকে সংসারের যত দুঃখ যেন একত্ৰে পাইয়া বসিয়াছিল। সে দুঃখের হাত এড়াইবে কিরূপে ? মলুয়া বাড়ীতে আসিলে আত্মীয়েরা কাণ-ঘুষা করিতে লাগিল। তিন Tমাস একটা চরিত্রহীন জমিদারের বাড়ীতে সে কাটাইয়াছে, সেখানে ছত্ৰিশ জাতের মেলামেশা ;-আচার-বিচার জাতি-বিচার এই জমিদারের নাই। বুড় আমলাদিগকে তাড়াইয়া দিয়া কতকগুলি ব্যভিচারী কৰ্ম্মচারী-দ্বারা সে বেষ্টিত থাকে ; সেখানে মলুয়া যে ধৰ্ম্ম বজায় রাখিয়াছে তাহার। প্ৰমাণ কি ? খাওয়া-দাওয়ার শুদ্ধত যে সে পালন করিতে পারিয়াছে, তাহারই বা ঠিকানা কি ? বিনোদের মাতুল হেলে-কৈবৰ্ত্তদের মধ্যে প্ৰধান কুলীন। তিনি বলিলেন, “ভাগিনেয়-বধূকে ঘরে নেওয়া যাইতে পারে না-কিছুতেই না, তবে বিনোদ প্ৰায়শ্চিত্ত করিলে তাহার দোষ খণ্ডিতে পারে, আমরা তাকে লইয়া খাওয়া-দাওয়া করিতে পারি।” বিনোদের পিসাও একজন কুলীন, তিনি মাতুলের কথায় সায় দিলেন । মলুয়ার পাঁচ ভাই সেইখানে ছিল, তাহারা অতিশয় ক্রুদ্ধ হইয়া ভগ্নিকে পিতৃগৃহে লইয়া যাইবার জন্য পীড়াপীড়ি করিতে লাগিল। আঁচলে চক্ষু মুছিতে মুছিতে মলুয়া বলিল “আমি বাহিরের পরিচারিকা হইয়া এই বাড়ীর বাহিরের কাজ করিব। আমি এ বাড়ী ছাড়িয়া থাকিতে পারিব না, SSDDDD DDD BD DBD BBK DBBDBDSS বাহিরের কাজ সব করিব একেলা ।” অনেক চেষ্টা করিয়াও ভাইএরা তাহার মন ফিরাইতে পারিল না। “প্ৰায়শ্চিত্ত করিয়া বিনোদ ত্যজে ঘরের নারী । আঁধারে লুকায়ে কঁাদে মলুয়া সুন্দরী।”