পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SSSR বাংলার পুরনায়ী “পান ফুল দিয়া কন্যায় তুল্য লাও ঘরে। সতী কন্যা হৈয়া কেন দাসীর কাজ করে ।” বিপুল তর্ক-বিতর্ক উঠিল। বিনোদের কুৎসা গাহিয়া আত্মীয়-স্বজন আন্দোলন করিতে লাগিল। মলুয়ার কলঙ্ক লইয়া বিনোদের পরিবার সমাজে আরও নিন্দিত হইল । एतान् সেই দিন বড় ঝড় উঠিয়াছে। সূত্যা নদীর ঢেউগুলি আকাশে উঠিয়া যেন বাতাসের সঙ্গে লড়াই করিতেছে, নদীর সিকতা-ভূমিতে কুড়ে ঘরগুলি বাতাসে থর থর কঁাপিতেছে। গৃহস্থের ঘরের দরজা জোর করিয়া বন্ধ করিয়া রাখিয়াছে, রাস্তায় লোকজন নাই। কে ওই সুন্দরী একাকী নদীর ঘাটে চলিয়াছে ? সুন্দরীর সুকোমল অঙ্গ সর্ব-ভূষণ যোগ্য কিন্তু তাহা ভূষণহীন। যে দেহ নীলাম্বরী বা অগ্নিপাটের শাড়ী পরিলে মানায়, জেলার খুঞা পরিয়া এরূপ ভীষণ ঝড়ের সময় সে একা কোথায় যাইতেছে, তাহার ঝড় বৃষ্টি জ্ঞান নাই, চোখের জল বৃষ্টির জলের সঙ্গে মিশিয়া যাইতেছে। সুন্দরী ভাবিতেছে“এত করিয়াও সোয়ামীর মুখখানি বিধাতা দেখিতে দিলেন না। আমিই তঁহার কলঙ্কের কারণ ; যতদিন আমি বঁচিব, ততদিন তঁহার নিস্তার নাই। আমার দোষে সকলে তঁহাকে দুষিবে ? এ ছার জীবন-র্তাহার সামাজিক নিন্দ ও কলঙ্কের কারণ ।” সুন্দরী ঘাটে আসিয়া ভাঙ্গ মন-পবন কাঠের ডিঙ্গাখানি খুলিয়া লইল, তাহাতে উঠা মাত্র নৌকাখানি ঝড়ের বেগে তৃণের মত মাকদরিয়ায় আসিয়া পড়িল । কখনও কখনও ঝড়ের অবকাশে আকাশে অস্তোন্মুখ রৌদ্রের রেখা ফুটিয়া উঠে, সেই স্বর্ণকিরণচ্ছটায় নিমজমান দেবী