পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२©९ বাংলার পুরনারী ভাঙ্গিয়া থাকিলে আমার অঙ্গে ভর দিয়া ওঠ। ঐ দেখ ফুলের কলি ফুটিতেছে, তোমার গলার ফুলের মালা বাসি হইয়া গেছে, ফেলিয়া দাও।” রাজা এক পরিচারিকাকে বলিলেন, “জানিয়া আইস, বঁাশী যে বাজাইতেছে সে কি চায় ?” খানিক পরে দৃতি ফিরিয়া আসিয়া বলিল, “কাৰ্ত্তিকের মত এক সুন্দর পুরুষ বঁাশী বাজাইতেছে, এমন বঁাশীর গান কখনও শুনি নাই, সে অন্ধ, কিন্তু ভাবের আবেশে বাঁশী বাজাইয়া পথে চলিতেছে। নগরের লোক উন্মত্ত হইয়া তাহার পিছু পিছু ছুটিতেছে, পাখীগুলি কলরব করিয়া তাহার গানের সঙ্গে সুর মিশাইতেছে, পশুরা গানে আকৃষ্ট হইয়া বন ছাড়িয়া আসিতেছে, কি আশ্চৰ্য্য, বঁাশীর সুরে, নদী নালা উজান বহিতেছে। মনে হয় বঁাশী থামিলে চন্দ্ৰ সূৰ্য্য আকাশ হইতে খসিয়া পড়িবে।” রাজা তঁহার রাণীকে বুকের কাছে টানিয়া আনিয়া বলিলেন, “কেমন ঘুমে তোমাকে ধরিয়াছে, ঐ পথে সুন্দর ভিক্ষুক বাঁশী বাজাইয়া চলিতেছে, একবারট ওকে দেখ, এবং আমি উহাকে কি দিব, বলিয়া দাও।” তখন রাজকন্যার চােখে মুখে অশ্রুর প্লাবন, তিনি মুখ ফিরাইয়া তাহা গোপন করিয়া বলিলেন,-সে কথা অতি ধীরে গদগদকণ্ঠে উচ্চারিত হইল“তুমি রাজা, ভিখারীকে কি দিবে না দিবে তাহা আমায় জিজ্ঞাসা করিতেছ। কেন, তুমি রাজ্যের রাজা, দাসীর কাছে কেন জিজ্ঞাসা করিতেছ। তোমার যাহা ইচ্ছা তাহাই দাও।” রাজা বলিলেন, “আমি সঙ্কল্প করিলাম, তুমি যাহা বলিবে তাহাই लिद ”ि রাজকন্যা মান মুখে বলিলেন “একি কোন কাজের কথা ! আমি যদি বলি, তুমি উহাকে তোমার রাজত্বটা দাও, তুমি তাহাই দিবে ?” রাজা বলিলেন, “হাঁ তাহাই দিব, প্ৰতিজ্ঞা করিলাম, তুমি যাহা বলিবে উহাকে তাহাই দিব।” মান মুখে ঈষৎ হাসি টানিয়া রাজকন্যা বলিলেন, “কি পাগলের মত কথা বলিতেছ! আমি যদি বলি, তোমার সমস্ত ধন ভাণ্ডার, নাগরিয়া