পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Soyo বাংলার পুরনারী পুত্র তাহার নামে যে “রামগতি ন্যায়রত্ন প্ৰণীত বঙ্গভাষা ও সাহিত্য বিষয়ক প্ৰস্তাব” বাহির করিয়াছেন, তাহার মধ্যে দীনেশ বাবুর সংগৃহীত সমস্ত তত্ত্ব তিনি ঢুকাইয়া দিয়াছেন। হুকা ও নলচে বদলাইয়াছে। অথচ তাহার পিতার নাম বজায় রাখিয়া একখানি বই লিখাইবার জন্য তিনি প্ৰথমতঃ দীনেশ বাবুর শরণাপন্ন হন। দীনেশ বাবু তখন রুগ্ন শয্যাশায়ী, তিনি এই কাৰ্য্যে স্বীকৃত হন নাই। স্বৰ্গীয় রামগতি ন্যায়রত্নের পুত্রের উচিত ছিল, পণ্ডিত মহাশয় যে পুস্তকখানি প্ৰকাশ করিয়াছিলেন—তাহারই প্ৰতিলিপি পুনমুদ্রণ করা, এবং যাহা কিছু নূতন আবিষ্কৃত হইয়াছে এবং এই অৰ্দ্ধ শতাব্দীর অধিককাল ব্যাপিয়া যে সমস্ত পরিবর্তন ঘটিয়াছে, তাহা সম্পাদকের নামে ভূমিকায় অথবা পাদটীকায় স্বীকার পূর্বক উল্লেখ করা। ইতিহাস পঙ্গুর ন্যায় একস্থানে বসিয়া থাকে না—তাহা গতিশীল। সুতরাং পণ্ডিত মহাশয়ের পুস্তকের পরে যে বঙ্গভাষা ও সাহিত্যের ইতিহাস আরও অগ্রগামী হইবে না, এরূপ আশা করা ভুল। কিন্তু তথাপি প্ৰাচীন জিনিষের একটা মূল্য আছে। বঙ্গসাহিত্যের ইতিহাসের সুপ্ৰাচীন নিবন্ধমালার মধ্যে এই পুস্তকখানি অন্যতম । তাহার সময়ে এ বিষয়ে কতটা জ্ঞান লোকের মধ্যে প্ৰচলিত ছিল এবং তিনিই বা কি দান করিয়াছেন, তাহা জানার কৌতুহল অনেকের আছে। কিন্তু সে পথে উক্ত নূতন সংস্করণখানি একবারে ঐরাবতের মত বিস্ত্ৰ উপস্থিত করিয়াছে। এইরূপ পুস্তক সম্পাদন বিজ্ঞান जथ\छ का6छ । তৃতীয় ইতিহাসখানি ইংরেজীতে লেখা । সুপ্ৰসিদ্ধ রমেশচন্দ্ৰ দত্ত মহাশয় ইহার রচয়িতা। যদিও তাহার সময়ে অনেক তত্ত্বই অপরিজ্ঞাত ছিল, তথাপি তঁহার সমালোচনা-রীতি, সাহিত্যে অন্তদৃষ্টি, বাংলা সাহিত্যের প্রতি অনুরাগ ও শ্রদ্ধা-পুস্তকখানিকে একটা গুরুত্ব ও গৌরব প্ৰদান করিয়াছে। ১৮৯৬ খৃষ্টাব্দে ত্রিপুরা রাধারমণ প্রেস হইতে দীনেশ বাবুর “বঙ্গভাষা ও সাহিত্য” নামক বৃহৎ গ্ৰন্থ প্ৰকাশিত হওয়া মাত্র ইহা যেরূপ আদরের সহিত গৃহীত হইয়াছিল, এদেশের সাহিত্যে তদ্রুপ দৃষ্টান্ত বিরল। কবি-গুরু রবীন্দ্ৰনাথ একখানি ক্ষুদ্র নীল রঙ্গের চিঠির কাগজে যে মন্তব্য লিখিয়া