পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

जौबब-कथ ه/هلا পাঠাইলেন তাহা ক্ষুদ্র হইলেও বিশেষ মূল্য বহন করে। উত্তর কালে কবিবর বিদ্যাসাগর কলেজ গৃহে এই পুস্তকের সুদীর্ঘ সমালোচনা পাঠ করিয়াছিলেন--তাহা তাহার গ্রন্থাবলীর অন্তৰ্গত হইয়া আছে। কবি ডি, এল, রায় সুরেশ সমাজপতির গৃহে এই বইখানি দেখিয়া তাহার মুখপত্রে নিজ হাতে লিখিয়াছিলেন “দীনেশ চন্দ্ৰ সেন, হবেন আমাদের টেন।” শ্ৰীযুক্ত রামানন্দ চট্টোপাধ্যায়ও দীনেশ বাবুকে তৎসম্পাদিত পত্রিকায় টেনের সঙ্গে তুলনা করিয়া বিস্তৃত প্ৰবন্ধ লিখিয়াছিলেন। হরপ্ৰসাদ শাস্ত্রী মহাশয় এই পুস্তকের বহু সমালোচনা করিয়াছিলেন, তাহা সুদীর্ঘ এবং অজস্ৰ প্ৰশংসাসূচক। জজ বরদা চরণ মিত্ৰ লিখিলেন, “এই পুস্তক সমালোচনার ক্ষেত্রে টেনের মত তীক্ষ অন্তদৃষ্টিশালী এবং উপকরণ সংগ্রহের বিশালতায় মরলের স্কেচের মত একটি রত্ন ভাণ্ডার।” “সাহিত্য’ পত্রিকায় হীরেন্দ্ৰ নাথ দত্ত মহাশয়ও বইখানির সুদীর্ঘ সমালোচনা প্ৰকাশ করেন। জীবন মৃত্যুর প্রতি ভ্ৰক্ষেপহীন অধ্যবসায় ও বহু বৎসরের অক্লান্ত পরিশ্রমে দীনেশ বাবু নিদারুণ মস্তিষ্ক-পীড়ায় শয্যাশায়ী হইয়া পড়িলেন। এই সময় তিনি ভিকটোরিয়া স্কুলকে কলেজে পরিণত করিবার উপযোগী সমস্ত ব্যবস্থাই করিয়াছিলেন। স্কুলের স্বত্ত্বাধিকারী দীনেশ বাবুর অকৃত্ৰিম সুহৃদ আনন্দচন্দ্র রায় মহাশয় দীনেশ বাবুকেই কলেজের অধ্যক্ষ পদে নিযুক্ত করার বন্দোবস্ত ঠিক করিয়া রাখেন। এই সময় র্তাহার মস্তিষ্কা-পীড়া এরূপ প্ৰবল ভাব ধারণ করিয়াছিল যে, আসাম বেঙ্গল রেলওয়ের প্রধান ডাক্তার ফ্রেঞ্চ সাহেব তাঁহাকে পরীক্ষা করিয়া বলিয়াছিলেন—“দীনেশ বাবু আর কোন কালেই লিখিবার শক্তি ফিরিয়া পাইবেন না ।” এই বিপদের সময় দীনেশবাবুর অন্তরঙ্গ বন্ধু, পূর্ববঙ্গের শিক্ষাবিভাগের ইন্সপেক্টর কুমুদবন্ধু বসু এবং আনন্দচন্দ্র রায় মহাশয়দ্বয় ভঁাহাকে যে সাহায্য ও সহানুভূতি প্ৰদান করিয়াছিলেন, তাহা সুবর্ণ অক্ষরে লিখিত হইবার যোগ্য। চিকিৎসাৰ্থ দীনেশ বাবু শয্যাশায়ী হইয়া কলিকাতায় আনীত হইলেন। ১৮৯৭ সালের এপ্ৰিল মাসে তিনি কলিকাতায় আসিয়া দেখিলেন, সাহিত্য