পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Rto RUM পুৱালারী যেন আনন্দে মুহুমূহ বিবাহের গীতি গাইয়া উঠিল। বামুন-রাজার পুৱীতে মেয়ের হুলুধ্বনি করিতে লাগিল। শিলাদেবীকে বার তীর্থের জল দিয়া স্নান করান হইল। চাদমুখখানি মুছিয়া নিৰ্ম্মল মুকুরের মত করা হইল, এবং সেই মুখের শোভার প্রশংসা করিয়া এক সখী অতি ধীরে একটি সিন্দুরের ফোটা কপালে অ্যাকিয়া দিল। কোন সখী মেন্দীর রস দিয়া রাঙ্গা চরণে কত চিত্র অ্যাকিয়া ফেলিল। শিলা হাতে বাজুবন্ধ ও সোনার তার পরিলেন, ; মেঘ-ডম্বরু শাড়ীতে তাহার উজ্জল গৌরবর্ণ খুব মানাইল । কাণে কৰ্ণ-ফুল ও চোখে কাজল পরিয়া যখন মঞ্জীর-চরণা আঙ্গিনায় দাড়াইলেন তখন র্তাহার দেবীমূৰ্ত্তি দেখিয়া জননীর চােখ দুটি আনন্দে সজল হইল । নানাদেশ হইতে বাজনাদারের দল আসিয়া যার যার কৃতিত্ব দেখাইতে ব্যস্ত হইয়া পড়িয়াছে। একদল বংশীবাদক বহুদূর উত্তর দেশ হইতে পথ পৰ্যটনের শ্রম দূর করার জন্য বিন্নি ধানের খই ও মুড়কি খাইতে খাইতে আসিয়াছিল। পূর্বদেশের বাজনদারেরা জয়-ঢাক কঁধে করিয়া আসিয়াছিল, সেই ঢাকের গায় করতাল বাধা ছিল, জয়-ডঙ্কার সঙ্গে খনখন করিয়া করতাল আপনি বাজিয়া উঠিত । পশ্চিম হইতে একটি বাদ্যকর বহু লস্কর সঙ্গে করিয়া বিবাহের আঙ্গিনায় উপস্থিত,-তাহাকে কেহ চিনিল না। কিন্তু তাহার বাদ্যের শব্দে এবং অদ্ভুত অঙ্গ-ভঙ্গীতে তাহার কাছে ভিড় জমা হইয়া গেল। তাহারা বামুন রাজাকে প্ৰণাম করিয়া বলিল, “আমরা বহুদূর হইতে আসিয়াছি আজ রাত্রে এমন বাজনা শুনাইয়া দিব যাহা আপনার জন্মে ভুলিবেন না।” মুণ্ডার অতর্কিত আক্রমণ রাত্রি একটু গভীর হইল, বিবাহের লগ্ন আসন্ন। সেই পশ্চিম দেশের বাড়কের নিজ দল হইতে একটু অগ্রসর হইয়া চােখের পলকে বাদ্যকরের