পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিলা দেবী SG?» বেশ বদলাইয়া তীর ছুড়িল। সেই বিষাক্ত শর রাজকুমারের মৰ্ম্ম ভেদ করিয়া চলিয়া গেল। মুণ্ডা এই ভাবে তাহার নিজের কােজ সারিয়া সেই ছদ্মবেশী জংলীদের লইয়া উৰ্দ্ধশ্বাসে পলাইয়া গেল। কুমার শরাহত হইয়া মাটীতে লুটাইয়া পড়িয়াছেন, তখন মুণ্ডাকে আর কে পায় ? অল্প সময়ের মধ্যেই সকলে বুঝিতে পারিল শার বিষাক্ত, রাজকুমারের জীবনের আশা নাই, তখন সেই হুলুধ্বনি ক্ৰন্দন। ধবনিতে পরিণত হইল। জয়ঢাক জয়ের বার্তা ঘোষণা থামাইয়া বুক-ফাটা কান্নার সুর বাজাইয়া ফাটিয়া থামিয়া গেল । কুমার তখনও জীবিত ছিলেন ; তিনি আসন্ন মৃত্যু বুঝিয়া ত্বরিৎ পদে বিবাহের স্বর্ণাঙ্কিত চেলীর ধুতি ফেলিয়া রণসাজ পরিয়া নিজ ঘোড়ার উপর চড়িলেন সেই মুণ্ডার খোজে। কিন্তু মুহুর্তের মধ্যে আবার ঘোড়া হইতে মাটীতে পড়িয়া গেলেন । মরিবার সময় বলিয়া গেলেন, ‘दिकांgलन ॉिथा भांला श् माई वांनि । মাথার ফুলের মুকুট সদ্য ফুল রাশি । আর না বাজাইও বাদ্য বিয়ার বাজনিয়া । কপাল পুড়িল আমার খড়ের আগুন দিয়া ॥” কন্যার বিলাপে আকাশ বাতাস কঁাপিয়া উঠিল। তিনি সহমরণের জন্য প্ৰস্তুত হইলেন, বামুন রাজা তঁহাকে ঠেকাইয়া রাখিতে গিয়াছিলেন, কিন্তু কন্যার মুখ দেখিয়া তিনি কোন কথা বলিতে সাহস করিলেন না। কঙ্কণের আঘাতে র্তার কপাল রক্তাক্ত, তাহার মুখে রক্তের লেশ নাই। জীবিত মানুষের মুখ কি কখনও এমন হয়! রাজ্যময় হায় হায় শব্দ,-সে কান্নার কলরবে লোকে যত ছোট ছোট সুখ-দুঃখ ভুলিয়া গেল। যেন বন্যার প্লাবনে সমস্ত ঘর-বাড়ী ভাসিয়া গিয়াছে, নগরের সৌধ-রাজি ও অট্টালিকা জলের তলে ডুবিয়া গিয়াছে। বামুন রাজা সৰ্বংসহ ধরণীর মত এই নিদারুণ শেল বুকে করিমু একটা ক্ষিপ্ৰগতি ঘোড়ায় চড়িয়া ত্ৰিপূৰ্ব্বতন্ত্ৰকুঞ্জ-দ্ৰৱৰ্তর গোেলণ্ড \ সেগু\\