পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ROS বাংলার পুৱালারী তিনি কোন কথা বলিলেন না, কোন কথা বলিতে পারিলেন না, কিন্তু শত শত অগ্রদূত যাইয়া ত্রিপুরেশ্বরকে এই দুঃসংবাদ পূর্বেই শুনাইয়াছিল। বামুন রাজা ত্রিপুরেশ্বরের সিংহাসনের নীচে গড়াইয়া পড়িয়া গেলেন, রাজা তঁহাকে হাত ধরিয়া উঠাইয়া বলিলেন, “সাত্মনা দেওয়ার কিছু নাইতবে আমি প্ৰতিশোধ লইব ।” তীরন্দাজ, গোলন্দাজ, সৈন্য যার যার হাতিয়ার ঘোড়ার পিঠে বঁাধিয়া বামুন রাজার দেশে ছুটিল। es ve মুণ্ডা এবার প্রমাদ গণিল । এত সৈন্য, এত অস্ত্ৰ শস্ত্ৰ দেখিয়া সে একেবারে হতবুদ্ধি হইয়া গেল । যেন সে বেড়া আগুনে পড়িয়াছে,- পলাইবার পথ নাই :- “একে তা জংলী দল লড়াই নাহি জানে। एछांकझेउि शांगांबांख्रि क८द्रप्छ औदन ॥ দড়ি বেড় দিয়া সবে মুণ্ডারে ধরিয়া । ত্রিপুরার সহরে সবে দাখিল করল গিয়া । রাজার হুকুমে মুণ্ডারে ময়দানে আনিল । তিন তোপ মারিয়া শেষে শূন্যে উড়াইল।” কত চোর-দসু্য-বর্বর মুণ্ডার মতই এরূপ স্পৰ্দ্ধা করিয়া নিজের বল না। বুঝিয়া জগতে প্ৰাণ দিয়াছে। মুণ্ডার মৃত্যুতে পৃথিবীর একটা বড় আপদ খণ্ডিল। দুঃখ হয়-দুটি সুকুমার জীবনের জন্য,-যাহারা বসন্ত ঋতুর সমস্ত সম্পদ লইয়া জগতে আনন্দের স্বপ্নরাজ্য সৃষ্টি করিতে উদ্যত হইয়াছিল, যাহাঁদের নিম্পাপ হৃদয়ে প্রেমের হোমানল জ্বলিতেছিল, তাহাদের এই অতি দুখকর বিয়োগান্ত জীবন-রহস্য মানুষ সমাধান করিতে পারে না, নর-বুদ্ধির অগম্য স্বভাবের এই বিপৰ্য্যয়ে ভগবানের নিৰ্ম্মম বিধানের উপর দ্বিধার ভাব আসে।