পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SRCS) যাইয়া মাকে জিজ্ঞাসা করিলেন,-মাতা বলিলেন, “তারা খেলা দেখাতে কত চায় ?” নদের চাঁদ বলিলেন, “একশত টাকা তাহারা চায়।” জননীর অনুমতি হইল, বাহির-খণ্ডে তাহাদের খেলা দেখান হউক । রাজ-বাড়ীতে খেলা দেখান হইবে, পল্লীর সমস্ত লোক ভাঙ্গিয়া १gिल । হোমরা বেদে ঢোলে কাটি মারিল, পাড়ার স্ত্রী পুরুষ যেখানে যে ছিল সকলে ছুটিয়া আসিল, চারদিকে ডাকাডাকি—হাকা হাঁকি, নদের চাদ সভা হইতে বারংবার উঠিয়া দৃষ্টিপাত করিতে লাগিলেন। মহুয়া যখন আসরে আসিল তখন নদের চাঁদ বসিয়া ছিলেন, অতিশয় কৌতুকে উঠিয়া দাড়াইলেন, তাহার দুই চক্ষু নিশ্চল। বন্য মার্জারীর মত ক্ষিপ্ৰপদে কলসী মাথায় মহুয়া দড়ি বাহিয়া বাঁশের ডগায় উঠিয়া নাচিতে লাগিল, সেই অদ্ভুত নৃত্য দেখিয়া কাহারও চােখে পলক পড়িল না। কিন্তু নদের চাদ অতিশয় দুশ্চিন্তায় বলিলেন, “এত উঁচু জায়গায় উঠেছে, আমার ভয় হয়, পাছে পড়িয়া মরে।” খেলা দেখার কৌতুক মিটিয়াছে, একান্ত আত্মীয়ের বেদনাতুর অন্তঃকরণ লইয়া তিনি মহুয়াকে দেখিতে লাগিলেন । মহুয়া বীশের উপর নাচিয়া গাহিয়া পদাঙ্গুষ্ঠে মাত্র দড়ি স্পর্শ করিয়া যেন আকাশের পরীর মত উড়িতে লাগিল। নদের চাঁদের চোখের নিমেষ নাই-মনে হয় যেন তঁর জ্ঞান নাই, লজ্জা নাই। যখন মহুয়া নামিয়া আসিয়া গ্ৰীবা হেলাইয়া হাত জোড় করিয়া ব্যাকসিস চাহিল, তখন যুবরাজ মুহুৰ্ত্তকাল কি দিবেন, ভাবিতে লাগিলেন-ইহাকে আদেয় কি আছে! পর মুহুৰ্ত্তে নিজের গায়ের হাজার টাকার শালখানি মহুয়াকে দিয়া তাহার কমলনিন্দিত মুখখানির দিকে চাহিয়া রহিলেন ; এ কুমারী অপসরা না গন্ধৰ্ব্ব কন্যা, ইহার অঙ্গ-সৌষ্ঠব নিখুত, কণ্ঠস্বর কোকিলের পঞ্চম রাগ। মহুয়া ভাবিতেছিল, “পুরস্কার লইয়া কি হইবে, হে ঠাকুর, ইহার মনের এক কোণে যেন আমি স্থান filt f?