পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SVS আগে চলিয়া গিয়াছে। নদের চাঁদ বলিলেন, “তুমি একটু ধীরে চল, আমি তোমার সঙ্গে দুই একটা কথা বলিব। কাল সন্ধ্যায়। সূৰ্য্যাস্তের পর জ্যোৎস্না উঠিবে। তোমার যদি অবসর হয়, তবে তখন একবার নদীর ঘাটে যাইবে। কলসী জলে ভরা হইলে যদি তুলিতে কষ্ট হয়, তবে আমি তুলিয়া দিব।” মাথা নীচু করিয়া মহুয়া চলিয়া গেল, কিন্তু কি ভাবিয়া পরদিন সন্ধ্যাকালে কলসী কঁাখে লইয়া সে নদীর ঘাটে আসিল । নদের চাঁদও সেই সময় নদীর ঘাটে উপস্থিত হইলেন এবং মৃদুস্বরে মহুয়াকে বলিলেন, “তুমি নিবিষ্ট হইয়া জল ভরিতেছ, কাল তোমাকে যে কথা বলিয়াছিলাম--তা’ তোমার মনে আছে কি ?” মহুয়া বলিল, “বিদেশী যুবক ! আপনি কি বলিয়াছিলেন, তা আমার भान नांछे ।” নদের চাঁদ-“আশ্চৰ্য্য ! এত অল্প বয়সে এত ভুল! এক রাত্রির মধ্যে আমার কথা ভুলিয়া গিয়াছ!” মহুয়া—“আপনি অচেনা যুবক, আপনার সঙ্গে এই নদীর ঘাটে নির্জনে কথা বলিতে বড় সরম পাই ।” নদের চাদ-“বেশ, জল তুলিয়া কলসী ভৰ্ত্তি কর! আমার জানিতে বড় সাধ হয় তুমি কোথা হইতে আসিয়াছ ? তোমার পিতামাতা কে, এদেশে আসিবার পূর্বে তুমি কোথায় ছিলে ? হাসিমুখে আমার কথার উত্তর দাও। আমার সঙ্গে কেউ নাই। নিতান্ত নির্জন স্থান-তোমার লজার কোন কারণ নাই।” মহুয়া-“রাজকুমার, আমাকে এ সকল প্রশ্ন করিয়া কেন কষ্ট দিতেছেন ? এই দুঃখিনীর কেহ নাই। আমার মা বাপ বা ভাই কেউ DBS DDD SBLBB BDBSBBDuDDDBBB S DB BDDDDBDD S আমার মত হতভাগিনী সংসারে নাই, এদেশে কি তেমন দরদী কেউ আছে, আমি যার কাছে প্ৰাণ খুলিয়া মনের কথা বলিতে পারি ? আমি নিজের জ্বালায় নিজে মরিতেছি। কে আমার মন বেদনা বুঝিবে ? কাকেই বা