পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R ۹و “তোমার সোণা মুখখানি ঘুম ভাঙ্গার পরে আর দেখিব না, চক্ষু দুটি কত অন্ধি সন্ধিতে সেই মুখ দেখিবার জন্য উতলা হইয়া থাকে,-হায় সকলই ফুরাইল । “যদি কখনও মনে হয়, তবে বঁধু দূর উত্তর-দেশে হিমালয় পর্বতের নিম্ন ভূমিতে চলিয়া যাইয়া আমায় একবার দেখিয়া আসিও । সেখানে প্ৰতি বৎসর বেদেরা কয়েকমাস বাস করিয়া থাকে, তুমি কতকদিন পরে সেইখানে যাইও । আমাদের বাড়ীতে নল খাগড়ার বেড়া ও দক্ষিণ দুয়ারী ঘর, সেইখানে আমায় পাইবে, প্ৰাণের অতিথিকে পাইলে আমি শালি ধানের চিড়া ও সে দেশের বড় বড় মৰ্ত্তমান কলা খাইতে দিব । ঘরে মৈষের দই থাকে, তাহা তুমি নিজ হাতে হাড়ী হইতে লইয়া খাইবোঁ,- আজই তোমার সঙ্গে আমার বোধ হয় শেষ দেখা, আর কি আমাদের সুখের মিলন পোড়া অদৃষ্ট লেখা আছে ?” যুবরাজ ভাবিলেন, “মহুয়া আসন্ন বিচ্ছেদের আশঙ্কায় রোজই কতনা প্ৰলাপ বলে, এও সেইরূপ উক্তি। আড়ার্কাদার বাড়ী ঘর, শান্তৰ্জী ও ধানের ক্ষেত সকল ছাড়িয়া হোমরা বেদে কোথায় যাইবে ? এখানে যতটা সম্ভব আমি বেদেদের জন্য সুবিধার ব্যবস্থা করিয়াছি।” তিনি মহুয়াকে বলিলেন, “কেন বিচ্ছেদের বৃথা আশঙ্কা করিতেছি, আমাদের কি আর ছাড়াছাড়ি হইতে পারে ? অসম্ভব।” মহুয়া একথা শুনিয়া কঁদিতে লাগিল । বেদেদের পলায়ন মানকাকে নির্জনে লইয়া গিয়া দৃঢ় স্বরে হোমরা বেদে বলিল“ভাই, এখন আর কোন দ্বিধা বা সন্দেহ নাই, আমি নিজে দেখিয়াছি। তোমার এই শালি ধান পড়িয়া থাকুক, আড়ার্কান্দার শালি ধানের চিড়া আর