পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাংলার পুরনারী سtو$ খাইতে হইবে না। বেঁচুেকী-পুটিলী বঁধ, আজ রাত্ৰি প্ৰায় সবটাই অাধার, চল। এই সুযোগে পালাই, না হইলে নদের ঠাকুরের বেড়া জালে আমাদের পড়িতে হইবে, সেখানে কারাগারে চির বন্দী হইয়া থাকিব নতুবা ইহারা আমাদিগকে মাটীর তলে পুতিয়া মারিবে। হউন তিনি রাজা-আমি কিছুতেই এই অনাচারের প্রশ্ৰয় দিব না।” তখনই রাত্রের অাঁধারে বেদে পাড়ায় সাজ সাজ রব পড়িয়া গেল । বঁাশ, দড়ি, তাম্বু, ধনু, ছিল, বেদেদের ঘাড়ে স্থান পাইলা, সেই নিস্তব্ধতার ভিতর দিয়া, ছাগল ভেড়া, বানর, ঘোড়া, শেয়াল, সজারু-সকলগুলি বনের পশু, ও তোতা টিয়া প্ৰভৃতি পাখী সহ বেদেরা আধারে গা ঢাকিয়া বামুনডাঙ্গা গ্রাম ছাড়িয়া গেল। পরদিন প্ৰাতে নগরের লোক বিস্মিত হইয়া দেখিল, আড়ার্কাদির মস্ত মস্ত ঘর বাড়ী একবারে খালি। পাকা ধানের একটি আঁাটিও তাহারা নেয় নাই। তাহাদের নিজেদের যাহা কিছু সম্বল ছিল, শুধু তাহাই লইয়া আঁধার রাতে তাহারা পলাইয়া গিয়াছে। নগরবাসীরা এ উহার মুখের দিকে চাহে, ব্যাপার কি ? কেহই বলিতে পারে না-তবে একথা ঠিক, যে হোমরা, মানকে ও তাহাদের দলের একটি প্ৰাণীও আর সেখানে নাই। ছাগলগুলি সেই প্ৰান্তরে আর চরিয়া বেড়ায় না, বেদেদের পাখীর স্বরে সে অঞ্চলের বাতাস আর মুখরিত হয় না-সুন্দরী-শ্রেষ্ঠ মহুয়ার মুখখানি পদ্ম-দীঘির মধ্যে আর একটি নূতন পদ্মের মত স্নানকালে ফুটিয়া উঠে না, পালঙ্ক ও নিরুদেশ হইয়াছে, ভিটা খালি, ঘর শূন্য। বহু লোক আসিয়া সেখানে প্ৰভাতকালে জড় হইয়া এই রহস্য সমাধানের আলোচনায় যোগ দিতে লাগিল, যতই কলরব ও বাকবিতণ্ডা বৃদ্ধি পাইতে লাগিল, ততই প্রশ্নটির জটিলতা বাড়িয়া চলিল । নদের চাদের অবস্থা সবে এক গ্ৰাস ভাত মুখে দিবেন, এমন সময় এই সংবাদ নদের চাঁদের কর্ণ-গোচর হইল। ভাতের গ্ৰাস মাটিতে পড়িয়া গেল। মাতা ডাকিতে