পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SGð লাগিলেন, পরিজনেরা ডাকিতে লাগিল, কিন্তু যুবরাজ কোন সাড়া দিলেন না, ফ্যাল ফ্যাল করিয়া চাহিয়া রহিলেন ; সকলে বলাবলি করিতে লাগিল -“নদের ঠাকুর পাগল হইয়াছেন।” “যখন নাকি নদের ঠাকুর এই কথা শুনিল । খাইতে বসি মুখের গ্রাস ভূমিতে পড়িল ৷ মায় ডাকে সবে ডাকে নাহি শুনে কথা । নদের ঠাকুর পাগল হইল শুনি যথা তথা ৷” নদের ঠাকুর ঘুরিয়া ঘুরিয়া আড়ার্কাদির সবজীবাগ ও ঘরবাড়ী দেখিতে লাগিলেন। দিনের বেলা। এইভাবেই কাটে ; এইখানে বসিয়া মহুয়া আমার জন্য বিনা সূতে মালা গাথিত, এইখানে সে বঁাশী শুনিবার জন্য নদীর দিকে একদৃষ্টি চাহিয়া থাকিত। এইরূপ ভাবনার শেষ নাই, কত কথা, কতদিনের সুখ দুঃখের কাহিনী মনে পড়ে-সত্যই বুঝি নদের চাদ পাগল হইলেন । একদিন তিনি মাকে বলিলেন, “মা আমার আর বামুনডাঙ্গা ভাল লাগিতেছে না, এ দেশে হাওয়া বর্ষাকালে বড় খারাপ হয়, সর্বদা যেন শীতের শিহরণে গায় কঁাটা দেয়। মা, তুমি অনুমতি কর-আমি দূরऊँीर्थ९gलेि 6ार्थिशा डांनि ।।” মা বলিলেন, “আমি তোকে ছাড়া এই পুরীতে কি লইয়া থাকিব ? রাজ্যই বা দেখে শুনে কে ? মায়ের মনের কষ্ট ও দুশ্চিন্তা তোরা কি করিয়া বুঝিবি, বর্ষার রাত্রের আর্দ্র বস্ত্ৰ, পিঠে শুকায় না, মাঘ মাসের শীতে কতবার গা ধুইয়া কাটাইতে হইয়াছে, এক মুহুৰ্ত্ত তাকে কোল হইতে বিছানায় নামাই নাই। মায়ের মনের দুশ্চিন্তা তোরা কি করিয়া जूविदि " বিদেশে বেভূয়ে যদি ছেলে মারা যায়, ছয় মাসের পথ দূর হইতে মায়ের মন তাহা জানিতে পারে। “বিদেশে বিপাকে যদি পুত্র মারা যায়। EE K L D BE L BDK D S