পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R SAAà পাহাড় হইতে পাহাড়ে ঘুরিতে লাগিলেন,-বেদের দল কোথায় ? মহুয়াই दl cकांथांध्र ? রাখাল মহিষ ও গরু চরাইয়া-গাছতলায় বসিয়া বঁাশী বাজায় ; নদের ঠাকুর তাহার কাছে যাইয়া বসেন,-ৰ্তাহার সুদৰ্শন মূৰ্ত্তি দেখিয়া রাখাল বালকেরা বিস্মিত হইয়া বঁাশী বাজান ক্ষান্ত করিয়া জিজ্ঞাসা করে “কে তুমি ঠাকুর, এমন রূপ তুচ্ছ করিতেছ। কেন, মাথায় তোমার জটা, দেহ তোমার শীর্ণ, বস্ত্ৰ তোমার • ছিন্ন-ধূলি বালিতে শরীর মান, তোমার কি কেউ নাই ! চল আমরা ঐ নিবারের জলে তোমাকে স্নান করাই, শরীর মার্জনা করিয়া দেই-না খাইয়া তুমি অস্থিচৰ্ম্ম-সার হইয়াছ, আমরা তোমাকে গাছের মিষ্ট ফল পাড়িয়া দিব, আমাদের মায়েরা তাহা কাটিয়া দিবে, তুমি আমাদের কুঁড়ায় চল।” নদের চাঁদ বলিলেন,-“সুদান করা, খাওয়া দাওয়ার কথা পরে, তোমরা একদল বেদেকে কি এই পথ দিয়া যাইতে দেখিয়াছ ! তোমরা কি আমার মহুয়াকে দেখিয়াছ ? তাহার চুলগুলি মেঘের লহরীর মত, রাঙ্গা পা দুখানি ছুইবার লোভে লুটিয়া পড়ে। তোমরা কি তাকে দেখ নাই, একবার দেখিলে জন্মে তাকে আর ভুলিতে পরিবে না। সে বাঁশ ও দড়ি লইয়া খেলা দেখায়, নৃত্য করে। সে খেলা ও নৃত্য যদি দেখিতে, তবে আর তাহা জন্মে ভুলিতে পারিতে না। এই পুকুরে কি আমার জলপদ্ম ফুটিত, এই পারে কি সে স্থল-পদ্ম হইয়া ফুটিত, তবে আমি পুকুরের জলে ডুবিয়া মরিব, আমার অঙ্গ শীতল হইবে। যদি এই পথ দিয়া পুকুরে জল আনিতে যাইত, হায়রে একবারটি যদি তাহাকে দেখিতে পাইতাম, তবে আমি পৃথিবীর সকল কথা ভুলিয়া পথের পানে তাকাইয়া থাকিতাম। ‘আকাশের পাখীরা দূরে উড়িয়া যাইতেছে—ইহারা বহুদূর পর্য্যন্ত দেখিতে পাইতেছে। ইহারা কি আমার মহুয়াকে দেখিতে পাইতেছে ? “উইডু যাওরে পাখী সব নজর বহুদূর। এই পথে বেদের দল গেছে কতদূর । C CT키 관 (5f WF || তিলেক অদেখা হ’লে হাইত মরণ ॥”