পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SNO কিন্তু হায় ! তঁাহার জন্য রাজবাড়ীর লোকেরা হাহাকার করিয়া কাটাইতেছে। মাতা মৃন্ময়ী ভগবতীর পাদপীঠে পড়িয়া মাটীতে লুটাইয়া কঁাদিতেছেন!! আজি এই উৎসবের দিনে, নদের চাঁদের পেটে ভাত নাই, মাথায় জটা, কটীতে ছিন্ন বস্ত্ৰ, তিনি “মহুয়া” “মহুয়া’ বলিয়া জঙ্গলে জঙ্গলে খুজিতেছেন। মণি হারাইয়া গেলে বণিক যেরূপ খোজে, মহুয়াকে তেমনই করিয়া খুজিয়া বেড়াইতেছেন। — কাৰ্ত্তিক মাসে ছেলেদের মঙ্গলের জন্য মায়েরা ঘটা করিয়া কাৰ্ত্তিক পূজা করিয়া থাকেন, এ সময়ে বুকের সোণার পুতুলের মত র্তাহাকে মাতা খুজিতেছেন। রাজবাড়ীর কাৰ্ত্তিক পূজা বৃথা হইয়া গিয়াছে। মাতার দুলাল * পুত্র, রাজ গৃহের একমাত্ৰ প্ৰদীপ বনের কোণে ঝোপের কোণে জোনাকীর মত অজ্ঞাত বাস করিতেছেন। কোন দিন এই দীপ তৈল-হীন সালতের মত নিবিয়া যাইবে, কে বলিবে । অকস্মাৎ মিলন অগ্রহায়ণ মাসে অল্প অল্প শীত পড়িয়াছে, একদিন অতি সৌভাগ্যবশে হঠাৎ নদের চাঁদ দেখিলেন কংস নদীর পুষ্পিত সৈকতে দাড়াইয়া মহুয়া জল ভরিতেছে। দুইজনে দুইজনকে দেখিলেন,-অতিথি বেশে নদের চাঁদ বেদের কুটিরে উপস্থিত হইলেন। দলের লোক বলাবলি করিতে লাগিল, মহুয়া এই ছয়মাস আঁচল পাতিয়া মাটীতে শুইয়াছিল। নিজে রাধে নাই, কোন খেলায় যোগ দেয় DD S BBDB BD DD DB DDDS DDDS BDBBBBS BDDB BBD সারারাত্রি ঘুমাইতে পারে নাই। আজ হঠাৎ এত উৎসাহ কেন ? যেন নূতন উদ্যমে কাজে লাগিয়া গেছে :- “ছয় মাসের মড়া যেন উঠি হইল খাড়া।” N9