পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sloyo বাংলার পুরনারী ইংরেজীতে অনুবাদ করেন। দীনেশ বাবু নিজেই সতীর অনুবাদ করিয়াছিলেন। অধ্যাপক জে, ডি, এণ্ডারসন আই, সি, এস (কেন্বিজে বাংলার অধ্যাপক) এই অনুবাদখানির একটি সুদীর্ঘ ভূমিকা লিখিয়া দিয়াছিলেন । হাইকোটের বিচারপতি গুরুদাস বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয় বলিতেন, “দীনেশবাবুর জড়ভরত পড়িয়া আমি বহু অশ্রুপাত করিয়াছি।” “সতী” আশুতোষ মুখোপাধ্যায় মহাশয়ের অতিশয় প্ৰিয় গ্ৰন্থ ছিল । ১৯০২ সনে দীনেশ বাবুর জীবনে আকস্মিক এক শুভপ্ৰভাত হইল। ঐ সময়ে তিনি স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায় মহাশয়ের সঙ্গে পরিচিত হন। ঐ সনে পণ্ডিত রজনীকান্ত গুপ্তের মৃত্যু হয়। তখনও বি, এ, পরীক্ষার্থীদের বাংলা ভাষা একটা পরীক্ষার বিষয় ছিল, এবং পণ্ডিত রজনীকান্ত বৎসর বৎসর তাহার পরীক্ষক হইতেন। পণ্ডিতজীর পরলোক-গমনের পর সেই পদটি খালি হইল। এই উপলক্ষে দীনেশবাবু মুখোপাধ্যায় মহাশয়ের (তদানীন্তন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলার) সঙ্গে দেখা করেন। সেই ১৯০২ সন হইতে দীনেশ বাবু বিশ্ববিদ্যালয়ের সহিত ক্ৰমশঃ ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত হইয়া পড়েন। পর বৎসর তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘রিডার’ নিযুক্ত হইয়া বঙ্গভাষা ও সাহিত্যের একখানি ইতিহাস ইংরেজী ভাষায় লিখিতে নিযুক্ত হইলেন ; সর্ত এই হইল যে, ইংরেজী বইখানি যেন সম্পূর্ণরূপে মৌলিক হয়। কেহ যেন উহাকে বাংলা বহির ইংরেজী তৰ্জমা মনে না করেন। দীনেশবাবু এই বিষয়ে প্ৰায় বিশটি বক্তৃতা পাঠ করেন। সুপ্ৰসিদ্ধ গুরুদাস বন্দ্যোপাধ্যায়, বহু সাহেব ও বাঙ্গালী যথা সতীশ মুখোপাধ্যায়, ডাঃ রাধাকমল মুখোপাধ্যায়, ডাঃ রাধাকুমুদ মুখোপাধ্যায়, ডাঃ বিনয় সরকার, ডাঃ রমেশ মজুমদার প্রভৃতি প্ৰতিভাশালী অনেক ব্যক্তি এই বক্তৃতাগুলির নিত্য শ্রোতা ছিলেন ; ডাঃ রাধাকমল মুখোপাধ্যায় ও বিনয় সরকার প্রভৃতি মনীষিগণ নোট বুকে দীনেশবাবুর অনেক কথা টুকিয়া লইয়া যাইতেন। ভগিনী নিবেদিতা (Miss Margaret Nobel ) ER SKIFRffa5 Tf2 CorfR দিয়াছিলেন। দীনেশ বাবুর যৌবনের অন্তরঙ্গ বন্ধু কুমুদবন্ধু বসুও বইখানি