পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SRAQ আমরা দেখিয়া বেড়াইব । হীরামণি দিয়া আমি তোমার গলার হার তৈরী করিয়া দিব। সোণা ও মতি দিয়া তোমার ‘কামরাঙ্গা শাখা’ গড়াইব । তোমার বেণী বাধিবার জন্য হীরামণি জড়িত কত সুন্দর সোণার সূতা থাকিবে, এবং উদয়তারা, নীলাম্বরী, মেঘডুম্বুর এবং অগ্নিপাটের শাড়ীতে তোমার রূপ আরও উজ্জল হইবে, এই শাড়ীগুলির এক এক খানির মূল্য লক্ষ টাকা । “কাড়ীর কাছে শাণে বাধা চারি কোণা পুষ্কণী । সেই ঘাটেতে তোমার সঙ্গে সাঁতার দিব আমি ৷ অন্দর মহলে আমার ফুলের বাগান। দুইজনে তুলিব ফুল। সকাল বিহান ৷” 5शां *ब्रांशे न८थं वि नाथं । নুপুরে সোণার ঝুনঝুনি বাজাবে শত শত ॥” কিছু না বলিয়া মহুয়া তখন সদাগরের জন্য পানের খিলি বানাইতে লাগিল, তাহার সুন্দর ও গম্ভীর মুখে প্ৰাতঃসূৰ্য্যের আলো পড়িয়া তাহা আরক্ত করিয়া দিল। সাধু সেই মুখ দেখিয়া এবং মহুয়ার তাহার জন্য কৰ্ম্মতৎপরতা দেখিয়া হাতে স্বৰ্গ পাইল। এদিকে বেদেদের অভ্যাসমত মহুয়ার মাথার চুলে তক্ষকের বিষ বাধা ছিল, চুণ ও খয়ের সঙ্গে মহুয়া গোপনে সেই বিষ মিশাইল। মহুয়ার মুখে আর গাম্ভীৰ্য্যের কোন চিহ্ন নাই, সে সদাগরের সঙ্গে হাসিয়া কৌতুক করিতে লাগিল এবং নিজ হাতের সাজা পাণের খিলি আদর করিয়া সাধুর মুখে দিল-সাধু কৃতাৰ্থ হইল। “তুমি আমাকে পান খাইতে দিলে, একটা নেশার আমেজ আসিয়াছে, তোমার কাছে আমি শুইয়া একটু ঘুমাইব ।” মহুয়া মাঝি-মাল্লাদের সকলের হাতে একটি করিয়া খিলি দিল । সেই খিলি খাওয়া মাত্র তাহারা নৌকার পাটাতনের উপর ঢলিয়া পড়িল । মহুয়া এই বিষের ক্রিয়া দেখিয়া ডাইনীর মত হাসিতে লাগিল এবং কালবিলম্ব না করিয়া তাহার সঙ্গে যে ছুরিটা ছিল, তাহা দিয়া ডিঙ্গার কাছি কাটিয়া ফেলিল ।