পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Abrao বাংলার পুরনারী “অচৈতন্য হইয়া সাধু পড়িয়াছে নায়। কুড়ল মারিল কন্যা ডিঙ্গার তলায়। বাপ দিয়া পড়ে কন্যা জলের উপর । ভরা সহ সাধুর ডিঙ্গি ডুবি হৈল তল ॥” এই সমস্ত ব্যাপার এরূপ সাংঘাতিক দ্রুততার সহিত সম্পাদিত হইল যে উহা কোন ঐন্দ্ৰজালিক ঘটনার ন্যায় প্ৰতীয়মান হইল। নদীর পরপারে বন, মহুয়া নদের চাদকে খুজিয়া বেড়াইতেছে। “এই গভীর জঙ্গলের কোন খনিতে মণি লুকাইয়া আছে-কোন বনে ফুল ফুটিয়াছে—যাহার ভ্রাণে আমার প্রাণ মত্ত হইয়া আছে ? আমাকে সেই ফুলের সন্ধান কে দিবে ? সেই মণির খনির কথা কে বলিয়া দিবে ? হে পাখীসকল! তোমরা কঁাকে ঝাঁকে আকাশে উড়িতেছ, আমার বন্ধু ভাসিতে ভাসিতে কোথায় গিয়াছেন, আমাকে বলিয়া দাও, আমি জন্ম দুঃখিনী! হে বাঘ-ভালুক ! আমি নিজের দেহ দিয়া তোমাদের ক্ষুধা মিটাইব, কিন্তু আগে আমার বন্ধুর সন্ধান আমাকে বলিয়া দাও । হে জলের হাঙ্গর কুম্ভীর ! তোমরা আমার বিদেশী বন্ধুর কথা বলিয়া আমার কর্ণ তৃপ্ত করা “ডালেতে বসিয়া আছ ময়ুর ময়ুরী। 6ऊाभद्रा कि खान 6न कथा, कश् नडJ कलेि । দরিয়ায় গলিয়া পড়ে আমার হীরার হার, কে কহিবে কোন অতলে সে হার আমার ॥” ঘুরিতে ঘুরিতে মহুয়া ক্লান্ত হইল, তাহার ক্ষুধা নাই, তৃষ্ণা নাই, শরীরে সুখ-দুঃখ বোধ নাই। বহু বন্য বাঘ হাঁ করিয়া আসিতেছে, কিন্তু মহুয়াকে দেখিয়া অন্য পথে চলিয়া যায়। অভাগীকে কে খাইবে ? বড় বড় অজগর সর্প হরিণ ধরিয়া খায়, মহুয়াকে দেখিয়া দূরে চলিয়া যায়। “আমাকে নদী তার শীতল জলে স্থান দিল না, জমিনের পশু ও হিংস্র৷ জীব ক্ষুধার তাড়নায় দিনরাত পাগল হইয়া ঘোরে-তাহারাও হতভাগিনীকে निब् न ”