পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Stre বাংলার পুরনারী আঘাত করিল। কিন্তু সে ভয় বা আশঙ্কার কোন কথা বলিল না, অতিশয় সংযত ভাষায় ধীর কণ্ঠে বলিল, “আমার স্বামীকে আগে বঁাচাইয়া দাও, তারপরে আমি সত্য করিতেছি, তোমার ইচ্ছা পূৰ্ণ করিব।” কিন্তু তাহার কথায় সন্ন্যাসীর যে প্ৰত্যয় হয় নাই, তাহার বিবৰ্ণ মুখ দেখিয়া তাহা বুঝা গেল। সন্ন্যাসী এবার তাহার খোলস ছাড়িয়া স্পষ্ট কথায় বলিল, “আমি তোমাকে স্পষ্ট কথায় জানাইতেছি-তোমাকে দুই দিন সময় দিলাম, তুমি এই সময়ের মধ্যে বিষ খাওয়াইয়া তোমার স্বামীকে মারিয়া ফেল ।” এই কথা শুনিয়া নিরূপায় অবস্থায় মহুয়া ঘরে ফিরিয়া আসিল । নদের চাঁদের সঙ্গে পরামর্শ করিল। রাজকুমার কি বলিবেন ? তাহার উঠিয়া বসিবার সাধ্য নাই। দারুণ জ্বরে তিনি একেবারে শক্তিহীন হইয়া গিয়াছেন, দাড়াইবার বল নাই-দু পা চলিলে হাঁটুতে হাঁটুতে লাগে। দুদিনের জন্য সুখের সংসার মহুয়া সেইদিন ঘোর রাত্রে তঁহাকে কঁধে তুলিয়া লইল, পার্বত্য পথে স্বামীর দেহ কঁধে করিয়া দেবাদিদেব শিবের মত চলিতে লাগিল। :- 'निम्भिकाgव्ण श्ाग्न कछु किgन्न किटझ bाग्न । प्रांद्म* ग्रज्ञांगैी थीि °ां८छ् नां१ांग श्रांश ॥” সেই পার্বত্য প্রদেশের হাওয়ায় নদের চাদের স্বাস্থ্যের উন্নতি হইল । আর ছয় মাসের মধ্যে তিনি সুস্থ ও সবল হইয়া উঠিলেন। মহুয়া পৰ্য্যাপ্ত আনন্দে সুস্বাদু বনের ফল ও ঝরণার জল লইয়া আসে, তাহাতে নদের চাদ তৃপ্তি লাভ করেন। “ঝরণার জল আনে কন্যা, আনে বনের ফল । তা খাইয়া নদের টাদের গায়ে হ’ল বল ।”