পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sir Svet এইভাবে অনেক দিন সেই দম্পতি বনে বনে কাটাইয়া দিল, তঁহাদের ঘর বাড়ী নাই, যেখানে সেখানে রাত্রি যাপন করা হয়। যেখানে পূর্ব-রাত্রি যাপন করা হইয়াছিল, বনের পক্ষীর মত ফিরিয়া আবার সেই বনের কুলায়ে উপস্থিত হয়। একটা জায়গা দেখিয়া নদের চাঁদের ভারি পছন্দ হইল, র্তাহারা সাতারিয়া নদীর অপর পারে গেলেন, “সামনে পাহাড়িয়া নদী সাতার দিয়া যায় । বনের কোয়েলা তথা ডালে বসি গায় ॥ ७छेशांप्न वैक्ष कgा निख यांजा घब्र । এইখানে থাকিব মোরা দোহে নিরন্তর ॥ সামনে সুন্দর নদী ঢেউএ খেলায় পানি । এইখানে রহিব মোরা দিবস রজনী । চৌদিকেতে রাঙ্গা ফুল ডালে পাকা ফল। এইখানেতে আছে কন্যা মিঠা ঝরণার জল ॥” এইখানে দম্পতি কয়েক দিন ঘর করিল। তাহদের সে সুখ স্বৰ্গ হইতে যেন দেবতারাও ঈর্ষা করিতে লাগিলেন। একদিন মাছ খাইতে যাইয়া নদের ঠাকুরের গলায় মাছের কঁাটা বিধিল । বেদিয়ার মেয়ে অস্থির হইয়া দেবীকে কাল ও ধবল পাঠা মানত করিল। আর একদিন নদের চাদের জ্বর হইয়া মাথার বেদন হইল, মহুয়া সারারাত্রি শিয়রে বসিয়া তাহার স্বামীর মাথায় কোমল হাত বুলাইতে লাগিল। কোণাকুণি পথ ধরিয়া নদের চাদ হাটের পথে যায়, মহুয়া তাহার কণ্ঠ লগ্ন হইয়া কাণাকণি বলিয়া দেয়—“আমার জন্য কিন্তু নাথ আনা চাই, দে’খ ভুল না।” দুইজনে বনের ফল পাড়িয়া ও কুড়াইয়া আনে,-দুইজনে আনন্দ করিয়া খায়। আলির পদচিহ্নযুক্ত একটা মালাম পাথর সেই নিভৃত জঙ্গলে পড়িয়াছিল, তাহারা তাহাতে শুইয়া গল্প করিতে করিতে ঘুমাইয়া পড়ে। প্ৰভাতে উঠিয়া তাহারা দুইজনে বনের বহুদূর ভ্ৰমণ করিয়া আসে,- আসিবার সময় বনের নানাপ্রকার সুস্বাদু ফল পাড়িয়া লইয়া আসে :-