পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩৯২

SRYMV) বাংলার পুরনারী “বাপ ভুলে মায় ভুলে, ভুলে ঘর-বাড়ী। দেশ ভুলে বন্ধু ভুলে স্বজন পেয়ারী। মনের সুখে দুইজনে কাটে দিনরাত । শিরেতে পড়িল বাজ পুন। অকস্মাৎ ৷” (NO) একদিন সন্ধ্যাবেলা সেই পার্বত্য দেশে রক্তবর্ণ ফুলের মধ্যে অস্তগামী সূৰ্য্যের রক্তিম আভা খেলিতেছিল, ক্রমশঃ সূৰ্য্য। আর দেখা যায় না, পশ্চিম আকাশের লাল রং মিলাইয়া গেল এবং ঘনীভূত মেঘ দিক-দিগন্ত ছাইয়া ফেলিল। বন-দম্পতি দুইজনে বহুদূর পর্য্যটন করিয়া আসিয়াছিল, পরস্পরের সঙ্গ লাভ করিয়া তাহদের পথ-শ্রান্তি বোধ হয় নাই। আনন্দের হিল্লোলে যেন দীঘির জলে দুটি নব-নলিনী ভাসিয়া বেড়াইয়াছে। সেদিন মালাম পাথরে বসিয়া দুইজনে আলাপ করিতেছিল। নদের চাঁদ বলিলেন—“আমার একটা কৌতুহল আছে, তাহা তুমি মিটাও নাই। তুমি কাহার কন্যা, কিরূপে দাসু্যদের হাতে পড়িলে এবং অতীত জীবন কি ভাবে কাটাইয়াছ, কতবার এই প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করিয়াছি, প্ৰতিবারেই তুমি আমার কথার উত্তর এড়াইয়া গিয়াছ-তোমার চক্ষু অশ্রুভারাক্রান্ত হইয়াছে ; তোমার মনের বেদনা বুঝিয়া আমি পীড়াপীড়ি করি নাই, আজ সেই কথা আমাকে বল! তুমি সেদিন বলিয়াছ, যখন ছয় মাসের তুমি শিশু, তখন হোমরা তোমাকে চুরি করিয়া লইয়া আসিয়াছে, ইহার অধিক কিছু বল নাই, কেবল দর বিগলিত অশ্রুতে তোমার মুখ ভাসিয়া গিয়াছে, আজ একটিবার বল-এইখানে বসিয়া তোমার অতীত छेडिझॉन gनिद ।” অদূরে নদী বহিয়া যাইতেছিল এবং মেঘ গৰ্জনের সঙ্গে সঙ্গে নদীতরঙ্গের ক্ষুব্ধ গর্জন শোনা যাইতেছিল। এমন সময় আকাশ-বাতাস প্ৰকম্পিত कब्रिज्ञा कांशांद्र दांपैी बांख्रिशा ऐळेिल ।