পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ver বাংলার পুৱালারী গ্ৰহণ করিয়া বৃদ্ধ বয়সে আমার মনে একটু সাংস্কনা দান কর, এবং তোমার জন্য এত যে করিলাম, তাহার এই প্ৰতিদান দিয়া আমাকে সুখী কর এবং তুমি নিজেও সুখী হও ।” মহুয়ার মুখ এবার ফুটিল, সে এ পৰ্য্যন্ত হোমরার কোন আদেশ লঙ্ঘন করে নাই, তাহার কোন কথার প্রতিবাদ করে নাই। আজ হোমরার চেহারা সিন্দুরের আভাযুক্ত কালো মেঘের মত,-তাহার কাল বর্ণের উপর ক্রোধের লালিমা দেখা যাইতেছে,-চােখ দুটি অগ্নিস্ফুলিঙ্গের মত জ্বলিতেছে, এই কালবৈশাখী মেঘকে দেখিলে শত্রুর মুখ শুকাইয়া যায়। মহুয়া কিন্তু এবার ভয় পাইল না,-সে ধীর কণ্ঠে করুণ স্বরে বলিল, “বাবা, তুমি কোন ব্ৰাহ্মণের আশ্রয় হইতে, কোন জননীর মৰ্ম্মান্তিক আৰ্ত্তনাদ উপেক্ষা করিয়া আমাকে তুলিয়া আনিয়াছিলে, তাহা আমি জানি না, আমি জন্মে মা বাপ কি বস্তু তাহা দেখিতে পাই নাই। “শুন শুন৷ ধৰ্ম্ম-পিতা বলি যে তোমায় । ब्र सूक ब्र {न cऊांभद्र उॉनिश्छ्नि। शांश्च ॥ ছোট কালে মা বাপের কোল শূন্য করি। কার কোলের ধন তোমরা করেছিলা চুরি । खनिश। नl cलशिलाभ कडू दा°-भांग्र । DBDD GLLDB LLTD D SgK LD DD S পালঙ্ক সখীর দিকে চাহিয়া মহুয়া বলিল, “এই বেদেদের মধ্যে তুমিই আমার মনের বেদনা বুঝিতে পারিবে।” এই বলিয়া রাজ-কুমারকে বলিল, “তোমার পাদপদ্মে অসংখ্য প্ৰণাম, জন্মের মত তোমার মহুয়াকে বিদায় দেও। মহুয়ার জন্য অনেক সহিয়াছ, এবার তোমার আমার দুঃখের শেষ”—বলিতে যাইয়া চােখে জল আসিতে উদ্যত হইল। কিন্তু মহুয়া সে উদ্যত অশ্রু সম্বরণ করিল এবং হোমরাকে বলিল “বাবা,-আমি তোমার সুজন-খেলোয়াড়কে চাই না। তুমি কার সঙ্গে কার তুলনা করিতেছ? চন্দ্ৰকে পরাজয় কুরিয়া আমার স্বামীর কান্তি শোভা পাইতেছে, তাহার কাছে সুজন বাদিয়ার জোনাকীর মত ক্ষীণ আলো ।