পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

TUK SY) আমার স্বামীকে ছাড়িয়া আমি একদিনও বঁচিতে চাই না, তিনিই আমার ५eोकभांड १डि। “সোনার তরুয়া বন্ধু একবার দেখ, আমার চক্ষু নিয়া তুমি একবার দেখা।” কাল মেঘের মত হোমরা গর্জন করিয়া উঠিল, এবং নদের চাদকে হত্যা করিতে মহুয়াকে আদেশ করিল। তখন ধীরে ধীরে মহুয়া সেই বিষাক্ত ছুরি নিজের বুকে বিধাইল এবং সেইখানে ঢলিয়া পড়িল। বাদিয়ার দল তখন নদের চাদের উপরে বাপাইয়া পড়িয়া তাহাকে খণ্ড খণ্ড করিয়া ফেলিল । সমাধির দৃশ্য, পালঙ্ক সই ইহার পরে আর একটি দৃশ্য। হোমরা বেদের চক্ষের জল মানিল না, কাল মেঘের বর্ষণ আরম্ভ হইল, সে নিজের দলকে ডাকিয়া বলিল“তোমরা দেশে চলিয়া যাও, মানকে তোমাদের দলপতি হইবে। আমি কি লইয়া দেশে যাইব ? যাহাকে ছয় মাসের শিশু-কাল হইতে বুকে করিয়া এত যত্নে পালন করিয়াছি, সেই বুকের ধন ফেলিয়া আমি কি লইয়া ঘরে যাইব ? রাজকুমার মহুয়াকে ভালবাসিত, সে ভালবাসা কথার কথা নহে, মহুয়ার জন্য সে রাজ্য-ধন-জাতিকুল সব ছাড়িয়া বনবাসী হইয়াছিল। এতটা জানিলে, উভয়ের এতটা প্ৰগাঢ় ভালবাসার কথা জানিলে, আমি বিরোধী হইতাম না, আমি ভাবিয়াছিলাম-নদের চাদ চোরের মত আমার ঘরে হানা দিয়া মহুয়াকে লইয়া পলাইয়া আসিয়াছে।’ হোমরা মাণিককে কহিল w