পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৪০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

NÒR বাংলার পুৱালারী ত্যাগ করিয়াছে। সুতরাং মহুয়া যদি রাজপদ ত্যাগ না করে, তবে তাহাকে ছোট বলা যায় না। এখন দেখিতে হইবে, তাহার যাহা কিছু তাঁহার সমস্তখানি তাহার প্ৰেমাস্পদের পায়ে সে দিতে পারিয়াছিল কি না । রাজপুত্র বনে যাইয়া মহুয়ার জন্য ছয়মাসকাল অকথ্য কষ্ট স্বীকার করিয়াছিলেন, কিন্তু এই ছয়মাস মহুয়া কি করিয়াছে তাহা দেখিতে হইবে। এই ছয় মাস মহুয়া আঁচল পাতিয়া ভূমি শয্যায় "শুইয়াছে, সারারাত্রি সে একটুও ঘুমায় নাই। মাথার ব্যথা ছুতো করিয়া সে একদিনও রান্না বাড়া কয়ে নাই, হয়ত বন্য কোন কষায় ফল খাইয়া জীবন ধারণ করিয়াছে। সে তাহদের দলের লোকের সঙ্গে খেলা দেখাতে যায় নাই, কোন কৌতুক করে নাই, নীরবে কঁাদিয়াছে এবং মৃতের মত ঘরের এক কোণে পড়িয়াছিল, যেদিন নদের ঠাকুর আসিলেন সে দিন অকস্মাৎ সে সজীব ও সক্রিয় হইয়া দাড়াইল । সঙ্গীরা দেখিয়া বিস্মিত হইল “ছয় মাসের মড়া যেন সামনে হৈল খাড়া ।” তাহারা মহুয়ার আকস্মিক কৰ্ম্মঠতার পরিচয় পাইয়া আশ্চৰ্য্য হইয়া C সুতরাং নদের চাদ ছয়মাস বনে জঙ্গলে ঘুরিয়া যে কষ্ট সহিয়াছেন, মহুয়া সেই বন্যদেশের নিভৃত কুঁড়ে ঘরে পড়িয়া তাহার জন্য কম কষ্ট সহে নাই। নদের টাঙ্গ প্রেমের স্রোতে ভাসিয়া গিয়াছিলেন, বড় মানুষের ছেলে আদরে লালিত। তঁহার আবদারের অন্ত নাই । যখন তঁহার ভালবাসা জলিল, তখনই সমস্ত প্ৰাণমন ঢালিয়া দিলেন। সেই যে দড়ির উপর DBDD DBD DLDDB BDYDD BDBDBDB DDDBBS SLuB DB BBBS প্ৰথম পরিচয়ে এই দুশ্চিন্তা তাহার হৃদয়ের অগ্রদূত। মহুয়াকেও প্ৰথম হইতেই আকৃষ্ট হইতে দেখিতে পাই। সে খেলা সাঙ্গ করিয়া অনেক কিছু পুরস্কার চাহিল, কিন্তু মনে মনে বলিল-“নদের ঠাকুরের মন যেন গো পাই” উভয়ের উভয়ের প্রতি প্ৰথম দৰ্শন হইতে আকৃষ্ট হইয়াছিল-নিসের উপদের