পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৪০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

V কোন সংযম ছিল না, তিনি প্রেমের মহাম্বুধিতে নিজেকে সম্পূর্ণরূপে ছাড়িয়া দিয়া ভাসমান একটি তৃণের মত অদৃষ্টের পথে চলিয়াছিলেন। এই গতি কোথায় থামিবে, কিম্বা কোন লক্ষ্যে র্তাহাকে পৌছাইবে এ সকল DDD DBB DDDB BDBD DDD S DB ssBSBBBDS BBDDS sB পুতুলের মত হইয়া গিয়াছিলেন, তাহার নিজের কোন শঙ্কা ছিল না, তিনি একবারে আত্মহারা হইয়া গিয়াছিলেন। প্ৰেম ধৰ্ম্ম তাহাকে অপূর্ব সহ গুণ দিয়াছিল ভাল মন্দের বিচার, ন্যায় অন্যায়ের বিচার, ভবিষ্যতের চিন্তা, নিজ সুখ দুঃখের জ্ঞান, বিপদের আশঙ্কা-এ সমস্তই তাহার লুপ্ত হইয়াছিল। সুতরাং নদের চাঁদ যে প্রেমের আদর্শ হিসাবে কাহারও অপেক্ষা কোন বিষয়ে নূ্যন ছিলেন, তাহা বলা যায় না। প্ৰেম-দেবতার পদে সর্বস্ব অর্ঘ্য দিয়া তিনি তাহার পূজারী হইয়াছিলেন। ইহার খুত ধরিবে কে ? যে দেশেই যিনি প্রেমের বড় আদর্শ দেখাইয়াছেন, কেহই নদের চাদকে ডিঙ্গাইয়া যাইতে পারেন না । কিন্তু মহুয়ার চরিত্রে প্ৰেম-বৃত্তি আদর্শে পৌঁছিয়াও তিনি আর কতকগুলি গুণ দেখাইয়াছেন, যাহা সাহিত্য বা সমাজে আমরা সচরাচর দেখিতে পাই না । তিনি অসংযত অবাধ প্রেমের স্রোতে গা ঢালিয়া দিয়াও সংযম এবং ভাবী চিন্তার প্রবৃত্তি সজাগ রাখিয়াছিলেন। তঁহার মত উদ্ভাবনী শক্তিও মেয়েদের মধ্যে দুর্লভ । প্ৰথমতঃ মহুয়া রাজকুমারের প্ৰেমকে খুব বিশ্বাসের চোখে দেখিতে পারেন নাই। তিনি ভাবিয়াছিলেন, বিড়মানুষের দুলাল ছেলের এ একটি খেয়ালও হইতে পারে। তিনি নিজে মজিয়া কুল শীল বিসর্জন দিয়া ছিলেন, কিন্তু তিনি নদের চাদকে মজাইতে প্ৰস্তুত হন নাই। তিনি যদি ইঙ্গিতে ভঁাহাকে বুঝাইতেন, তাহার পিতার সঙ্গে তিনি যাইবেন না, তাহা হইলে হোমরা বেদের কি সাধ্য ছিল, মহুয়াকে লইয়া সে স্থান হইতে পলাইয়া যাইতে ? কিন্তু তিনি বুঝিয়েছিলেন, তাহার এই সাহচৰ্য্য কুমারের পক্ষে শুভঙ্কর হইবে না ; তঁহার মাতা এবং স্বগণ কেহই এই প্রেমের প্রশ্ৰয় দিবেন না, হয়ত তিনি রাজ্য-পদ, কুল শীল হারাইয়া একবারে নিঃস্ব হইবেন । তাহার পর বড় মানুষের খেয়াল ; যেমন শতকরা