পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৪০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাণিকতারা SRDà) • কিন্তু তীরে দাড়াইয়া নদের ভৈরব রূপ উপভোগ করিতে যাইয়া কবি মাঝিদের আতঙ্কের কথা বিস্মৃত হন নাই, লিখিয়াছেন, যখন এই উদাম জলরাশির উপর দিয়া ব্যঞ্জা ও তুফান বহিয়া যায়, তখন

  • नां9 छांgए नां क६ांद्म ।'

কর্ণধার নৌকা ছাড়িতে সাহসী হয় না। ঝড়ের সময় নৌকার ছাদের মত উঁচু একটা ঢেউ, উঠে; ঢেউএর মুখে ফেনা, যেন উচ্চৈশ্ৰবা৷ তুরঙ্গ রণোন্মাদনায় ছুটিয়াছে। শিশু তিমি, হাঙ্গর প্রভৃতি জন্তু চোখে অন্ধকার দেখিয়া নদীর তলা ছাড়িয়া উপরে উঠতে থাকে। ঝড়ের বেগে তীর হইতে সমূলে উৎপাটিত গাছগুলি জলে পড়িয়া তীরবেগে পূবের দিকে গারো পাহাড়ের অভিমুখে ছুটিয়া যায় :- “গাছ বিরক্ষী (বৃক্ষ) চুবন খাইয়া ভাইস যায় পূব পাহাড়। হায়রে গাঙ্গের কি বাহার ॥” এই বহুরূপ নদের দৃশ্যের মুহুমুহু পরিবর্তন হয়, ঝড় চলিয়া গেলে দিকদিগন্তব্যাপী জলরাশি একবারে স্থির একটি দৃশ্যপটের মত হয়, তখন এই গর্জনশীল “নদের মুখে নাইরে রা”- নিঃশব্দে জল চলিয়াছে—পরিচালকের নির্দেশে মূকবৎ সৈন্যরাশির মত। তখন ভাতের থালার মত-নন্দ পড়িয়া থাকে-বাতাস না থাকিলে তাতার ঘুম ভাঙ্গাইবে কে ? আবার যখন ঝঙ্কা আসিবে, তখন তাহার ঘুম ভাঙ্গিবে। sites si, এই ব্ৰহ্মপুত্রের তীরে “গজের হাট” নামক বন্দর। প্ৰতি সপ্তাহে তিন দিন সেখানে হাট বসে। নদের এই বঁাকে খেয়ার নৌকা ঘাটে বাঁধা, হাটের