পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৪০৮

VPop বাংলার পুৱালারী দিনে তথায় অসম্ভব লোকের ভিড় হয়। অনেকেই হাট করিতে আসিয়া BSDD DBDB BD DDBDDB BB DBS BDBD DDDDBB BDDSDDDD DDD সেই হাটেই রসুই করিয়া খায় এবং হাটের একখানি ছোট ঘর ভাড়া লইয়া রাত্রিটা সেইখানেই কাটাইয়া দেয়। এই ঘাটে শত শত খেয়া নৌকা ও মান্দার কাঠের বড় নৌকা ভাড়াটিয়ার জন্য প্ৰতীক্ষা করিয়া থাকে। এই সকল মাঝিরা মা বাপ ও স্বগণদের কথা ভুলিয়া যায়, ঝড়-তুফান গ্ৰাহ করে না-প্ৰবল বাতাসের মধ্যে ভাটিয়াল গান গাহিতে গাহিতে নৌকা ছাড়িয়া দেয়—এবং অদৃষ্ট মন্দ হইলে বুদ্ধদের মত নদের আবর্তের মধ্যে পড়িয়া ডুবিয়া যায়। এখন খেয়া নৌকার ভাড়ার কথা বলিতেছি তাহা শোন। সে এক কড়ির পাহাড় ভাড়াটিয়াকে গুণতি করিয়া দিতে হয়। হিসাব করিয়া তাহা বলিয়া দিব, তাহা শুনিলে তোমার তাক লাগিবে। চার কুড়ি কড়িতে এক পোণ হয়, এইরূপ ষোল পণে এক কাহণ হয়। দশ কাহণ কড়ি মজুৱা দিয়া লোকজনকে গাঙ্গ পাড়ি দিতে হয়। দশ কাহণ কড়ি-অর্থাৎ দশ টাকা-খেয়া নৌকার ভাড়া। ইহা দিলেই যে বিপদ উদ্ধার হইল, একথা বলা যায় না । দশ কাহণ কড়ি দিয়া এপার হইতে ওপারে পৌছিলে লোকজন সেরপুর গ্রাম পাইবে, এইজন্য সেরপুর অঞ্চলটার নাম “দশ কাহিশিয়া” হইয়াছে। সেরপুর পৌঁছিয়া যাত্রী ঈশ্বরের নাম স্মরণ করে ঃ “अकभूख व श्रांद्धि विधा मन कांश् शिष्य कड़ि। মাটি পাইয়া লোকে কইতো আল্লা, রসুল, হরি।” কিন্তু সকলের ভাগ্যে নিরাপদে আসিয়া সেরপুর গ্রামে পৌঁছিতে পারা সহজ ছিল না। কতজনের মাক-দরিয়ায় সলিল-সমাধি হইত ; সেই গাঙ্গে গাঙ্গ-চিলগুলির মত চোর দসু্যু ইতস্ততঃ ঘুরিত, তাহাদের টাকা কড়ি, জহরত এই সকল দসু্যরা লুণ্ঠন করিয়া লইয়া যাইত ।