পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জীবন-কথা S/O cx SlfSEPSI FIS TsIc<s, frelifS « • Get Y**íjöGPa (Globe trotters) পুস্তকে বা লেখায় তাহা পাইবেন না। লটির ত্ৰিবান্ধুরের মন্দিরের অনুষ্ঠানগুলির কৌতুহল উদ্রেককারী বর্ণনা ও নিভাবিলনের আড়ম্বরপূর্ণ হিন্দু শাস্ত্রের ব্যাখ্যা এই সহজ ও অনাড়ম্বর বইখানির সঙ্গে তুলনায় অতি অকিঞ্চিৎকর বোধ হইত।” আর একবার ঐ পত্রিকায় নিম্নলিখিত মন্তব্য প্ৰকাশিত হইয়াছিল “ভবিষ্যতে বঙ্গবাসীর মানসনেত্ৰে উপকরণ-সংগ্ৰহ বিষয়ে দীনেশচন্দ্রের বীরভূমির রক্তবর্ণ ভূমি ও পূর্ববঙ্গের নদ-নদীর উপকূলে ভ্ৰমণ একটা কল্পনা জগৎ বিচিত্ৰ করিয়া দেখাইবে, যেন আবহমান কাল ধরিয়া এক পৰ্য্যটক গ্রীষ্ম-ঋতুর সৌরকর মাথায় করিয়া এবং ঝড় বৃষ্টির পথ দিয়া গঙ্গার নিম্ন উপত্যকাতে স্বীয় দেশের ভাষার সমৃদ্ধির জন্য রত্ন সন্ধান করিতেছেন।” দীনেশ বাবু এপৰ্য্যন্ত আশুবাবুকে অনেকবার বাংলায় এম-এ পরীক্ষা প্ৰবৰ্ত্তনের জন্য অনুরোধ করিয়া আসিতেছিলেন । কিন্তু সেই মনীষী তাহার সনিৰ্ব্বন্ধ অনুরোধ বরাবরই উপেক্ষা করিতেন। হঠাৎ ১৯১৯ সনে একদিন তিনি দীনেশ বাবুকে ডাকাইয়া আনিয়া বলিলেন, “এম-এ-তে বাংলার পরীক্ষা গৃহীত হইবে ঠিক করিয়াছি, আপনি এ্যাণ্ডারসনকে বিলাতে চিঠি লিখুন, পাঠ্য তালিকা ও অষ্টাহব্যাপী পরীক্ষার বিষয়সূচি প্ৰস্তুত করিতে। তিনি তাহ পাঠাইলে আমরা তাহা বিবেচনা করিয়া সমস্ত ব্যবস্থা সমাধা করিব।” দীনেশ বাবু বলিলেন, “এতদিন ধরিয়া আমার অনুরোধ আপনি অগ্রাহা করিয়া আসিয়াছেন, হঠাৎ এই মত পরিবর্তনের কারণ কি ? আমার নিকট ইহা বড়ই অদ্ভুত বোধ হইতেছে।” উত্তরে আশুতোষ বলিলেন—“এম, এ, পরীক্ষা শুধু বাংলায় সীমাবদ্ধ থাকিবে না, প্ৰাদেশিক অন্যান্য ভাষা-ভাষী লোকদের জন্যও দ্বার খোলা রাখিব, অথচ বাংলা ভাষা এখনও জগতে এরূপ প্ৰতিষ্ঠিত হয় নাই যেসকলেই তাহা বুঝিবে। এজন্য ইংরেজী ভাষায় ইহার ইতিহাস, ভাষাতত্ত্ব প্ৰভৃতি বিষয়ক বই থাকা চাই, যতদিন যাবত আপনারা এইরূপ অনুরোধ করিয়াছেন, ততদিন প্ৰধানতঃ আমি আপনার দ্বারা উপযুক্ত পাঠ্য পুস্তক লিখাইয়া লইয়াছি। এখন এই কাজ অনেকটা সম্পূর্ণ হইয়াছে আমরা এইবার বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করিতে পারি।” 因