পাতা:বাংলার পুরনারী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৪১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

vo বাংলার পুৱালারী হরি-বাসর করিত। কোন দিন আবার দৈবযোগে বিশু দিন-মজুরী পাইলে সকলে মিলিয়া কিছু উপার্জন করিত। বিশুর জ্যেষ্ঠ পুত্রের নাম বাসু- সে বার বছরে পা দিয়াছে, কিন্তু দুনিয়ার অকৰ্ম্মা, সে কিছুই শেখে নাই। দ্বিতীয় পুত্ৰ কুশাই-সে। ব্ৰহ্মপুত্রে সীতার কাটিতে যাইয়া ডুবিয়া গেল ; প্ৰতিবেশীরা বহু খুজিয়া তাহাকে পাইল না ; তৃতীয় পুত্ৰ দাসু মায়ের সঙ্গে গাঙ্গে নাইতে গিয়াছিল, শত শত লোক স্নান করিতেছে, এমন সময় সর্বাপেক্ষা দুৰ্ভাগ্য দাসুকে চিনিতে পারিয়াই যেন একটা হাঙ্গর আসিয়া তাহাকে পা ধরিয়া টানিয়া লইয়া গেল, কত বর্শা মারিয়া,-জাল ফেলিয়া কেহ তাহাকে রক্ষা করিতে পারিল না। চতুর্থটি গাছে উঠতে যাইয়া ডাল ভাঙ্গিয়া মাটিতে পড়িয়া গেল, তদবধি সে বিছানায় পড়িয়া কয়েক মাস বুকের যন্ত্রণায় ভুগিয়া শেষে চির उदांझडि °iाछेल । বিশু নিতান্ত বিপদে পড়িয়া বিধাতাকে ডাকিয় তাহার কাহিনী শুনাইল-“কিতদিন তো না খাইয়া ইহাদের লইয়া উপবাস করিয়াছি, তখন ফিরিয়াও তাকাও নাই। যাহা হউক ছেলেগুলি যখন কথা বলিত, তখন তাহাদের কলরবে কৰ্ণে আমার মধুবৃষ্টি হইত। এত সুখই বা তোমার বুকে সহিবে কেন, একে একে সব কয়টি হরণ করিয়াছ-অবশিষ্ট এক বাসু-এক পেটি তৈলের মত, একবার একটু গড়াইয়া পড়িলেই নিঃশেষ হইবে। আমি জিজ্ঞাসা করি, এই সন্তানগুলি তুমি দিলেই বা কেন ? নিলেই বা কেন ? আমি যে আর এত কষ্ট সন্থা করিতে পারিতেছি না। আমার প্রাণ তোমাকেই দেব, আমি আর ঘরে दिब्रिद न ।।” বিশু নাপিত চিৎকার করিয়া বিধাতাকে এই সকল প্রশ্ন করিতে লাগিল। কিন্তু এই সকল প্রশ্নের উত্তর তিনি দিতে পরিবেন না, বলিয়াই श्ऊ देिशांऊ निष्क्रखद्ध ब्रशिब्लन । ইতস্ততঃ ঘুরিয়া শোকগ্ৰস্ত বিশু নাপিত নদীর একটা ভাঙ্গন পাড়ে বসিয়া বিলাপ করিতে লাগিল । কতক্ষণ সে বেহাসের মত তথায় ছিল, তাহা সে বুঝিতে পারে নাই, অলক্ষিতে একটা সূতার মত দাগ সেই